ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কি কি ১৪টি - ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয়

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কি কি এই সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন? আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা ঈদের দিনের সুন্নত সম্পর্কে জানার পাশাপাশি ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে উপরোক্ত এই বিষয়গুলো সহ ঈদুল ফিতর নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ঈদের-দিনে-করণীয়-ও-বর্জনীয়
কাজেই, আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তার কারণ হলো ঈদের দিনের বিশেষ সুন্নতগুলো সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। এর পাশাপাশি ঈদের দিন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও আমাদের জানতে হবে। যে বিষয়গুলো আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কি কি

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কি কি

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কি কি? আমরা অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ঈদের দিনের সুন্নত কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। একজন মুমিন এবং মুসলমান ব্যক্তি হিসেবে আমাদের সকলেরই ঈদের দিনের সুন্নত কাজ সম্পর্কে জেনে থাকা প্রয়োজন। যেটা আজকের এই তথ্যবহুল আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা ঈদের দিনের বিশেষ সুন্নত কাজগুলো সম্পর্কে জেনে নিই। ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কি কি? তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
  • অন্যান্য দিনগুলোর তুলনায় ঈদের দিন সকালবেলা অতি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা ঈদের দিনের প্রথম সুন্নত।
  • তারপর সুন্দরভাবে মেসওয়াক করা। এটাও ঈদের দিনের আরেকটি সুন্নত।
  • ঈদগাহে নামাজে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সুন্দরভাবে গোসল করে নেওয়া। এটিও ঈদের দিনের বিশেষ সুন্নত।
  • ঈদগায়ে অবশ্যই উত্তম পোশাক পরিধান করে যাওয়া। নতুন পোশাক হতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনার কাপড় গুলোর মধ্যে যেটি সবচেয়ে উত্তম সেটি পড়ে ঈদগাহে ঈদের নামাজে যাবেন। এটিও আরেকটি সুন্নত।
  • ইসলামী শরীয়ত সমর্থন করে এমনভাবে সাজ সজ্জা করে ঈদগাহে যাওয়া আরেকটি সুন্নত।
  • ঈদের দিন অবশ্যই সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত।
  • ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই খেজুর অথবা মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাওয়া ঈদের দিনের আরেকটি বিশেষ সুন্নত।
  • ঈদের নামাজ অবশ্যই ঈদগাহে গিয়ে আদায় করা আরেকটি সুন্নত কাজ।
  • ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে অবশ্যই পায়ে হেঁটে হেঁটে যাওয়া। এটিও ঈদের দিনের সুন্নত কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।
  • ঈদের নামাজ পড়তে এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং অপর রাস্তা দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসা ঈদের দিনের আরেকটি বিশেষ সুন্নত।
  • ঈদের নামাজে যাওয়ার সময় অবশ্যই তাকবীর বলতে বলতে যাওয়া সুন্নত।
  • ঈদুল ফিতরের নামাজে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সাদকাতুল ফিতর আদায় করা সুন্নত।
  • ঈদের নামাজ পড়তে অতি সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া অকারণে বিলম্ব না করা।
  • ঈদের দিন সামর্থ্য অনুযায়ী দান খয়রাত করা।
এখানে যে সুন্নতগুলোর কথা বলা হলো এগুলো হলো ঈদের দিনের বিশেষ সুন্নত কাজ। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কি কি? এই নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করা হলো। উপরোক্ত এই কাজগুলো ঈদের দিন অবশ্যই করা পালনীয়। নবীজি এই কাজগুলো ঈদের দিন করেছেন এবং তার সাহাবীদের এই কাজগুলো করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। আশা করছি ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কি কি? এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয়

ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা ঈদের দিনের বিভিন্ন করণীয় এবং বর্জনীয় কাজগুলো সম্পর্কে জানে না। বিশেষ করে তারাই এই প্রশ্নটি পড়ে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়লে ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যেটা আমাদের সকলেরই জেনে থাকা খুবই প্রয়োজন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা এই বিষয়টি জেনে নিই।
ঈদের-দিনের-সুন্নত-কাজ-গুলো-কি-কি
প্রথমে আমরা ঈদের দিনে করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। ঈদের দিনে করণীয় কাজগুলো নিম্নরূপঃ
  • অন্যান্য দিনের তুলনায় ঈদের দিন নিজেকে একটু সংযত রাখা।
  • ঈদের দিন কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ না করা।
  • কোন সময়ই কোন খারাপ কাজ না করা বিশেষ করে ঈদের দিন সব খারাপ কাজ এড়িয়ে চলা।
  • ঈদের দিন একে অপরকে মেহমানদারী করানো।
  • ঈদের দিন একে অপরের খোঁজ খবর রাখা।
  • ঈদের দিন একে অপরকে সালাম দেওয়া এবং মুসাফা করা পাশাপাশি কোলাকুলি করা।
  • শরীয়ত সমর্থন করে না এমন কাজ কখনোই না করা বিশেষ করে ঈদের দিন না করা।
  • সব সময় সবার সাথে ভালো আচরণ করা বিশেষ করে ঈদের দিন সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করা।
উপরোক্ত এই কাজগুলো আপনি সবসময়ই করবেন। বিশেষ করে ঈদের দিনে এই কাজগুলো করা জরুরী। আশা করছি ঈদের দিনের করণীয় কাজ গুলো সম্পর্কে জেনেছেন।

এবারে আমরা ঈদের দিনে বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে আলোচনা করব। ঈদের দিনে বর্জনীয় কাজগুলো নিম্নরূপঃ
  • ঈদের দিনে আমরা এমন কোন কাজ করবো না যেটা ইসলামী শরীয়ত সমর্থন করে না।
  • ঈদের দিন কারো সাথে কোনরূপ সাথে ঝগড়া বিবাদ করবো না।
  • যদি নিজের কোন খারাপ অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে ঈদের দিন থেকেই প্রতিজ্ঞা করবো ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
  • অপর ব্যক্তি কষ্ট পাই এমন কাজগুলো কখনোই করবো না বিশেষ করে ঈদের দিন তো অবশ্যই করবো না।
  • ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে কোন অশ্লীল কাজের সাথে জড়িয়ে পড়বো না। এটি ঈদের দিন অবশ্যই বর্জনীয়।
  • ঈদ উৎসবের নামে বেপর্দা ভাবে চলাফেরা করা এটিও ইসলামী শরীয়ত বিরোধী। এই কাজগুলো থেকে ঈদের দিন অবশ্যই বিরত থাকবো।
  • ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে কখনোই গান-বাজনা এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজানো থেকে বিরত থাকবো। এটিও ঈদের দিন বর্জনীয় একটি কাজ।
এগুলো হলো ঈদের দিন বর্জনীয় কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। এতক্ষণ আপনাদের সাথে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করলাম তার সবগুলোই হলো ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ। আশা করছি এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনারা ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

ঈদুল ফিতর নিয়ে কিছু কথা

ঈদুল ফিতর নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে আলোচনা করি। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা ঈদুল ফিতর সম্পর্কে জানতে চাই। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা ঈদুল ফিতর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা ঈদুল ফিতর নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করি। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের বছরের দুইটি ঈদ আসে। তার মধ্যে ঈদুল ফিতর অন্যতম। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পরে মুসলমানদের জীবনে এই খুশির দিনটি আসে।

শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখেই অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। হিজরী দ্বিতীয় সনে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার সাহাবীদের সাথে করে প্রথম ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছিলেন। তখন থেকেই মূলত ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ এক মাস রোজা থাকার পরে ঈদুল ফিতরের যে আনন্দ সেটা ভাষায় বলে বোঝানো যাবে না। মূলত যারা একমাস আল্লাহর জন্য রোজা রেখেছে এবং রাত্রি যাপন করে তারাবির নামাজ আদায় করেছে শুধু তারাই বুঝে ঈদুল ফিতরের আনন্দ কতটা।
ঈদুল ফিতর প্রত্যেকটা মুমিন ব্যক্তির জন্য একটি খুশির দিন। ঈদুল ফিতরের দিন একে অপরের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ এবং খোঁজখবর নেওয়া পাশাপাশি সকলকে মেহমানদারি করানো উত্তম। মহান আল্লাহ তায়লা এক মাস রোজা রাখার পরে এই ঈদুল ফিতর দিয়েছেন বান্দাদের খুশির জন্য এবং একে অপরকে মেহমানদারী করানোর জন্য। আমরা সকলেই ধনী গরিব সবার সাথে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিব। সমাজের যারা বিত্তশালী ব্যক্তি রয়েছে তাদের উচিত অসহায় গরীব সকলের পাশে থেকে ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করা।

মোট কথা, ঈদুল ফিতর যেহেতু একটি খুশির দিন তাই এই দিন আমরা সকলেই অনেক হাসিখুশি থাকবো এবং সকলের খোঁজ খবর নেব। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ঈদুল ফিতর নিয়ে কিছু কথা বললাম। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ঈদুল ফিতর নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ঈদের নামাজ কি ফরজ না ওয়াজিব

ঈদের নামাজ কি ফরজ না ওয়াজিব? আমরা অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা ঈদের নামাজ ফরজ নাকি ওয়াজিব এই বিষয়টি জানতে পারবেন। যেটা আমাদের জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা ঈদের নামাজ কি ফরজ না ওয়াজিব এই বিষয়টি জেনে নিই। আলোচনার শুরুতেই বলে রাখা ভালো যে, ঈদের নামাজ পড়া ফরজ নয় বরং ওয়াজিব।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বছরে দুইটি ঈদ আসে। ঈদের দিন দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ পড়তে হয় ঈদগাহে গিয়ে। ঈদের নামাজের বিধান ফরজ কোন বিধান নয়। ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ঈদের নামাজ না পড়েন তবে ওয়াজিব ছুটে যাওয়ার গুনাহ হবে আপনার। ফরজ ছুটে যাওয়ার গুনাহ হবে না। আশা করছি এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি ঈদের নামাজ কি ফরজ না ওয়াজিব? এই বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

ঈদের দিনের আমল সমূহ

ঈদের দিনের আমল সমূহ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ঈদের দিনের বিশেষ আমলসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যেই বিষয়টা আমাদের জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা ঈদের দিনের আমল সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই। ঈদের দিনের বিশেষ আমল সমূহের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে কোরআন তেলাওয়াত করা। যেহেতু ঈদের দিন একটি বিশেষ দিন তাই এই দিনে আপনি তওবার নামাজ পড়তে পারেন।
ঈদুল-ফিতর-নিয়ে-কিছু-কথা
জীবনের সমস্ত পাপের কথা স্মরণ করে মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। বিশেষ এই দিনকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ চাইলে আপনাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কাজেই, তওবার নামাজ পড়া এটি ঈদের দিনের একটি বিশেষ আমল। তাছাড়া ঈদের দিনের আমল স্বরূপ আপনি বিভিন্ন জিকির করতে পারেন। মহান আল্লাহর জিকির করলে হৃদয়ে প্রশান্তি লাভ হয়। ঈদের দিন আমল স্বরূপ আপনি বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করবেন।

এই আমলগুলো আপনি ঈদের দিন পালন করতে পারেন। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ঈদের দিনের আমল সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করলাম। উপরোক্ত যেই বিষয়গুলোর কথা বলা হলো তা সবগুলোই হলো ঈদের দিনের বিশেষ আমল। ঈদের দিন সকলের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজখবর নেওয়া একটি ভালো কাজ। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ঈদের দিনের আমল সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে

ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে আমরা অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা ঈদের নামাজ না পড়লে গুনাহ হবে কিনা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবেন। কাজেই, আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের প্রত্যেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা সকলেই ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে এই বিষয়টি জেনে নিই। ঈদের নামাজ যেহেতু ওয়াজিব একটি নামাজ।

তাই ঈদের নামাজ যদি কেউ ইচ্ছে করে ত্যাগ করে তবে তার ওয়াজিব ছুটে যাওয়ার গুনাহ হবে। ঈদের নামাজ যেহেতু বছরে দুইবার আসে। তাই আমরা সকলেই চেষ্টা করব ঈদের নামাজ ঈদগাহে গিয়ে আদায় করার জন্য। যেহেতু নামাজের বিধান সবসময় সবার আগে। এর পাশাপাশি আপনি যে পরিস্থিতিতেই থাকেন না কেন তখনও আপনার উপর নামাজ পড়া ফরজ। যেহেতু নামাজ ইসলামের একটি মৌলিক বিধান এবং নামাজের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কাজেই আমরা ঈদের নামাজ অবশ্যই আদায় করব।
ঈদের এই ওয়াজিব নামাজ কোন সময়ই যেন ছুটে না যায় সেই বিষয়টি মাথায় রাখবো। যদি আমরা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কিংবা কোন কারণবশত ঈদের নামাজ ছেড়ে দেই তবে অবশ্যই ওয়াজিব তরক করার গুনাহ হবে। তাই আমরা ঈদের নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবো ঈদগাহে গিয়ে। তাহলে এতক্ষণের আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট যে, আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ঈদের নামাজ টি ছেড়ে দেন তবে আপনার ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার গুনাহ হবে।

আমরা সকলেই ঈদের নামাজ পড়ার চেষ্টা করব এবং ঈদগাহে গিয়ে পড়বো। বাড়িতে একাকি ঈদের নামাজ পড়বো না। এতক্ষন আপনাদের সাথে ঈদের নামাজ না পড়লে কি গুনাহ হবে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করলাম। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

ঈদের দিনের সুন্নত সম্পর্কে এক কথায় কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)

ঈদের নামাজ কয় রাকাতঃ ঈদের নামাজ কয় রাকাত আমরা তা জানবো। আমরা সকলেই কমবেশি অবগত আছি যে ঈদের নামাজ দুই রাকাত পড়তে হয়। ঈদের নামাজ ২ রাকাত।

ঈদের নামাজ কি ওয়াজিবঃ ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব? এটিও আমাদের জানার বিষয়। হ্যাঁ, ঈদের দুই রাকাত নামাজ ওয়াজিব নামাজ। ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব।

ঈদের নামাজ কয় তাকবীরঃ ঈদের নামাজ কয় তাকবীর এখন আমরা তা জানবো। ঈদের নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবীরের সাথে আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজের তাকবীর সংখ্যা ছয়টি।

প্রথম ঈদের নামাজ কত খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়ঃ প্রথম ঈদের নামাজ কত খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয় এখন আমরা এই বিষয়ে জানব। ঈদের প্রথম নামাজ শুরু হয়েছিল হিজরী দ্বিতীয় সনে। ইংরেজি সাল গণনার হিসেবে ৬২৪ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসের শেষ দিকে প্রথম ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয়

সুপ্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এখন নিশ্চয়ই ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কি কি? এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি ঈদের দিনে করণীয় ও বর্জনীয় কাজগুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত আপনার একটি ধারণা হয়েছে। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার এতটুকুও উপকার মনে হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

কারণ তাদেরও ঈদের দিনের বিশেষ সুন্নত সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন। যেটা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন। আমি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চেষ্টা করি আপনাদের সামনে সঠিক এবং আপডেট খবর গুলো তুলে ধরার জন্য। আর আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি কোথাও কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে জানাবেন। আমি যথাযথ চেষ্টা করব আপনার সকল সমস্যার সমাধান করার জন্য।

কাজেই, বিভিন্ন বিষয়ের সকল আপডেট এবং পরীক্ষিত খবরাখবর গুলো সব সময় সবার আগে পাওয়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটিকে (M.F. Hossain) গুগল নিউজে ফলো করার জন্য অনুরোধ রইল। তাহলে আশা করছি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। কারণ এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের খবর প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি আপনার বন্ধু-বান্ধবদেরও এই ওয়েবসাইটটিকে ফলো করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারেন।

তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করছি। পাশাপাশি আপনারাও মহান আল্লাহর নিকট আমার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

M.F. Hossain ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url