বাংলা আর্টিকেল লেখার ৩১টি নিয়ম - ০৫টি উপায়ে বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয়

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। পাশাপাশি এই আর্টিকেলে বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয় সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। এর পাশাপাশি বাংলা আর্টিকেল লেখার ওয়েবসাইট এই বিষয়েও কিছু আলোচনা করা হবে।
বাংলা-আর্টিকেল-লিখে-টাকা-আয়
কাজেই, আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যাদের একটি বাংলা ব্লগিং সাইট রয়েছে তারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আর্টিকেল লেখার অনেক গুরুত্বপূর্ণ টিপস জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম - বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয়

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের প্রধান আলোচ্য বিষয়। আমাদের মাঝে অনেকেই আছি যারা বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই। তাদের উদ্দেশ্যেই আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি। বাংলা আর্টিকেল লেখার বেশ কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। যে নিয়ম কানুন গুলো মেনে একটি আর্টিকেল লিখলে সেটি গুগলে র‍্যাঙ্ক করানো অনেক সহজ হয়। তাহলে চলুন কি সেই নিয়মকানুন সেগুলো সম্পর্কে কিছু জেনে আসি। বাংলা আর্টিকেল লেখার বিশেষ সেই নিয়ম গুলো নিচে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলোঃ
  • বাংলা আর্টিকেল লিখতে হলে প্রথমে যে বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে সেটি হল আর্টিকেলের টাইটেল বা ফোকাস কিওয়ার্ড। সুন্দর একটি ফোকাস কিওয়ার্ড আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে বিষয়ের উপর আর্টিকেলটি লেখা হবে।
  • চেষ্টা করবেন ফোকাস কি ওয়ার্ডটি যেন পাঁচ থেকে দশ শব্দের মধ্যে হয়। দশ শব্দের বেশি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার না করাটাই ভালো হবে। বাংলা আর্টিকেল লিখতে এই বিষয়টিও মাথায় রাখবেন।
  • এরপর আর্টিকেলের মেটা ডেসক্রিপশন বা ভূমিকা সংযোজন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মেটা ডেসক্রিপশন যেন দুই থেকে আড়াই লাইনের বেশি না হয়।
  • মেটা ডেসক্রিপশন এর পরে সেই আর্টিকেল সংক্রান্ত সুন্দর একটি ফিচার ইমেজ আপনাকে সংযুক্ত করতে হবে। ফিচার ইমেজটি অত্যন্ত সুন্দর এবং প্রাসঙ্গিক হলে খুবই ভালো হয়। চেষ্টা করবেন ফিচার ইমেজটি যেন একদম ইউনিক হয়।
  • মেটা ডিস্ক্রিপশন এর পরে আবারো এক থেকে দুই লাইনের এই আর্টিকেল সম্বন্ধে ইতিবাচক কিছু লিখতে হবে।
  • এরপর এই আর্টিকেলের সূচিপত্র তৈরি করতে হবে। যেই বিষয়গুলো এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে সেগুলো ক্রমান্বয়ে সূচিপত্রে সংযোজন করতে হবে এবং সেগুলোর লিংক করতে হবে।
  • চেষ্টা করবেন এই আর্টিকেলের প্রধান বিষয়টি সূচিপত্রের প্রথমে রাখার জন্য। এরপর অন্যান্য বিষয়ের আলোচনা করবেন। তাহলে এটি খুবই ভালো একটি আর্টিকেল রচনা হবে।
  • তারপর সূচিপত্রে সংযুক্ত বিষয়গুলো একের পর এক বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। অর্থাৎ অন্যান্য সেকেন্ডারি কিওয়ার্ডগুলো যেন আর্টিকেল রিলেটেড হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরী।
  • তারপর এই আর্টিকেলের মধ্যে আরও পড়ুন নামে বিভিন্ন সেকশন তৈরি করতে হবে। এর মধ্যে আপনার অন্যান্য আর্টিকেলের লিংক সংযোজন করতে হবে।
  • তারপর আর্টিকেলে যদি এমন কোন টেক্সট থাকে যে সম্পর্কে আপনার ওয়েবসাইটে বিস্তার একটি আর্টিকেল লেখা আছে। তাহলে সেই আর্টিকেলের লিংকটি টেক্সট এর সাথে জুড়ে দিতে হবে। মোটকথা, টেক্সট লিংক সংযোজন করতে হবে।
  • আবার আর্টিকেলে সংযুক্ত সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ডগুলো প্যারাগ্রাফ হেডিং এবং টেক্সট লার্জ করতে হবে।
  • আর্টিকেলে কোন অপ্রাসঙ্গিক কালার কিংবা টেক্সটের বিকৃতি করা যাবে না। চেষ্টা করবেন সবসময় নরমাল ফন্ট ব্যবহার করার জন্য। আর্টিকেলটি ক্লিয়ার ফর্মেটিং হতে হবে।
  • আর আর্টিকেলটি সবসময় জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্টে রাখতে হবে। মোটকথা, আর্টিকেলের সবদিকের লেখাগুলো সমান থাকতে হবে। তাহলে দেখতে যেমন সুন্দর হবে তেমনি আপনার আর্টিকেলও অত্যন্ত ভালো হবে।
  • চেষ্টা করবেন খুব সহজেই পাঠককে বিষয়টি বোঝানোর জন্য। অত্যন্ত জটিল কোন শব্দ ব্যবহার করবেন না যেটা পাঠকের বুঝতে কষ্ট হয়।
  • আর সব সময় চেষ্টা করবেন আর্টিকেলে আমি অথবা আমরা ইত্যাদি শব্দগুলো ব্যবহার করার জন্য। যেন একজন পাঠক এই আর্টিকেলটি পড়ে মনে করেন যে আপনি তার সাথে গল্প করছেন।
আর্টিকেল-রাইটিং-কি
  • আর্টিকেলের মধ্যে মোট তিন জায়গায় ফিচার ইমেজ ব্যবহার করবেন। তিনটি ফিচার ইমেজ হবে তিন রকমের। দুই প্যারাগ্রাফের মাঝে ফিচার ইমেজ ব্যবহার করবেন।
  • ফিচার ইমেজ অবশ্যই ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে সেভ করতে হবে। আর ফোকাস কিওয়ার্ড এর মাঝে অবশ্যই হাইফেন ব্যবহার করতে হবে।
  • আবার অল্টারটেক্সট এবং টাইটেল টেক্সট এগুলোতেও ফোকাস কিওয়ার্ড সংযোজন করতে হবে। তাহলে আর্টিকেল অনেক এসইও ফ্রেন্ডলি হবে।
  • আর্টিকেলে কোন বিষয়ে পয়েন্ট আকারে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বুলেট মার্কিং ব্যবহার করবেন। যেমনটি এই আর্টিকেলের মধ্যে দেখতে পাচ্ছেন।
  • আর্টিকেলের মধ্যে কোন উস্কানিমূলক ছবি বা লেখা রাখা যাবে না। বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
  • আবার অন্যের ধর্মকে আঘাত করে এমন কোন চিত্র বা কর্মকাণ্ড কিংবা লেখা আপনার আর্টিকেলে রাখা যাবে না। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আর্টিকেলটি লিখবেন।
  • সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি লিখতে হবে প্যারায় প্যারায়। অর্থাৎ প্রতি পাঁচ লাইন পরপর একটি করে এন্টার চাপ দিয়ে একটি প্যারা তৈরি করবেন। তাহলে আর্টিকেলটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে। আর্টিকেলের মধ্যে অতিরিক্ত গ্যাপ রাখা যাবে না।
  • আবার প্রতিটি প্যারাগ্রাফ এর শুরু যেন ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে হয় সে বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখবেন। এই বিষয়গুলো এসইওতে অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
  • আবার আপনার আর্টিকেলটি কোন ক্যাটাগরিতে সেটি অবশ্যই সিলেক্ট করতে হবে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • আবার আর্টিকেলের লিংক নিজেকেই তৈরি করতে হবে। এটিকে পার্মালিংক বলে। পার্মালিংক অবশ্যই ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে হতে হবে।
  • আপনার আর্টিকেলে যদি কোন স্ক্রিনশট ব্যবহারে প্রয়োজন পড়ে তবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই ব্যবহার করবেন। আর বাকিটুকু স্ক্রিনশট ক্রপ করে কেটে ফেলবেন। তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত মার্জিত দেখাবে।
  • আর কোথাও থেকে কোন বিষয় হুবহু কপি করে এনে আপনার আর্টিকেলে ব্যবহার করবেন না। আপনার আর্টিকেলটি হতে হবে একদম ইউনিক। অর্থাৎ যেটা আর কোথাও নেই।
  • অন্যের আর্টিকেল দেখে আপনি শুধু ধারণা নিতে পারবেন। আর আর্টিকেল লিখতে হবে একদম আপনার মত। মোট কথা, আর্টিকেলের কোনো প্রকার কপিরাইট থাকা যাবে না।
  • আর্টিকেলে যদি এমন কোন বিষয় থাকে যেটা ডাউনলোড করার প্রয়োজন তাহলে অবশ্যই তার লিংক যুক্ত করতে হবে।
  • আপনার আর্টিকেলটি অবশ্যই অন্যান্য আর্টিকেলের থেকে বেশি তথ্যবহুল হতে হবে। আপনার আর্টিকেলটি পড়ে যেন একজন পাঠক তার কাঙ্খিত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারে। এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখতে হবে।
  • মোটকথা, আপনি এখন এই আর্টিকেলটি যে ফরমেট অনুসরণ করে লেখা দেখছেন সেই ফরমেট অনুসরণ করে আর্টিকেল লেখায় হলো বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম। মূলত এই আর্টিকেলটি বাংলা আর্টিকেল এর নিয়ম কানুন অনুসরণ করেই লেখা হয়েছে। কাজেই, আপনাকেও এই ভাবেই আর্টিকেল লিখতে হবে।
উপরোক্ত যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো সেই সবগুলোই হল বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে একটি বাংলা আর্টিকেল লিখলে অবশ্যই সেটি একটি আদর্শ বাংলা আর্টিকেল হবে। আশা করছি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয়

বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করব কিভাবে এই বিষয়ে আমরা অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করার বিভিন্ন বিষয় বা মাধ্যম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন। পাশাপাশি বাংলা আর্টিকেল লিখে ভালো একটা এমাউন্ট জেনারেট করতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।

আলোচনার শুরুতেই বলে রাখা ভালো যে, বাংলা আর্টিকেল লিখে আপনি যদি টাকা আয় করতে চান তবে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো নিজের একটি ওয়েবসাইট। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ভালো টাকা পয়সা ইনকাম করতে পারবেন। এটা বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করার প্রথম উপায়। মোটকথা, আপনি আপনার নিজের ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আবার আপনার যদি নিজের ওয়েবসাইট না থাকে তবে অন্য ওয়েবসাইটেও আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এটিও বাংলা আর্টিকেল লিখে আয়ের আরেকটি উপায়। আবার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমনঃ আপওয়ার্ক, ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদিতে বাংলা আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আয় করা যায়। এটিও আরেকটি উপায় হতে পারে বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করার জন্য। তাছাড়া আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারবেন আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে।

তাছাড়া আর্টিকেল রাইটিং জব করেও টাকা পয়সা ইনকাম করা সম্ভব। মোটকথা, আপনি আর্টিকেল রাইটিং শিখে গেলে আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে আপনাকে শুধু একদম ভালোভাবে আর্টিকেল লেখা শিখতে হবে। তাহলে আপনি উপরোক্ত এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে বাংলা আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। তবে আমার মতে সবচেয়ে ভালো হবে নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখলে।

এতক্ষণ আপনাদের সাথে বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এখন নিশ্চয়ই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

বাংলা আর্টিকেল লেখার ওয়েবসাইট

বাংলা আর্টিকেল লেখার ওয়েবসাইট সম্পর্কে এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। আমরা অনেকেই আছি যারা বাংলা আর্টিকেল খুব সুন্দর ভাবে লিখতে পারি কিন্তু কোন ওয়েবসাইটে কিভাবে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায় তা জানি না। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি বাংলা আর্টিকেল লেখার ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারণা পাবেন। বর্তমানে অনেকগুলো ওয়েবসাইট রয়েছে যে ওয়েবসাইট গুলোতে বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়। এরকম কিছু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটের নাম এখানে উল্লেখ করা হলোঃ
  • প্রথমেই যে ওয়েবসাইটটির নাম বলবো সেটি হল অর্ডিনারি আইটি। এই ওয়েবসাইটে আপনি বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন।
  • তারপর রয়েছে টেকটিউনস ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটেও বাংলা আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আয় করা যায়।
  • রোর বাংলা ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটি বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করার একটি সাইট।
  • গ্রাথোর ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা সম্ভব।
  • এরপর রয়েছে জেআইটি। এটিও বাংলা আর্টিকেল লেখার সাইট।
  • প্রতিবর্তন ডট কম এটিও একটি বাংলা আর্টিকেল লেখার সাইট।
  • ইনকাম টিউনস ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বাংলা আর্টিকেল লেখা যায়।
  • গেট পেইড বাংলা ওয়েবসাইটেও বাংলা আর্টিকেল লেখা যায়।
  • এছাড়াও বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট যেমনঃ আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার এবং পিপুল পার আওয়ার নামে ওয়েবসাইট রয়েছে।
  • প্রো ব্লগার নামে ওয়েবসাইট রয়েছে বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য।
উপরোক্ত এই ওয়েবসাইট গুলো বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য খুবই জনপ্রিয়। আশা করছি বাংলা আর্টিকেল লেখার ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনাদের জানাতে সক্ষম হয়েছি।

আর্টিকেল রাইটিং কি

আর্টিকেল রাইটিং কি? আমরা অনেকেই এই বিষয়টি জানিনা। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি আর্টিকেল রাইটিং কি এই বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটি ধারণা পাবেন এবং জানতে পারবেন। আমরা ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও কনটেন্ট দেখতে পাই। মূলত সেই কনটেন্ট ক্রিয়েটর এর একটি অংশ হলো আর্টিকেল রাইটিং। কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বলতে শুধু যারা ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে তাদেরকেই বোঝায় না। যারা আর্টিকেল রাইটিং করে তাদেরও কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলা হয়ে থাকে।

মূলত কনটেন্টের বিভিন্ন পার্ট থাকে তার মধ্যে একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং। আর্টিকেল রাইটিংকে টেক্সট কন্টেন্ট নামেও অভিহিত করা হয়। কোন একটি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিয়ে তা টেক্সট আকারে তুলে ধরাই হলো আর্টিকেল রাইটিং। যারা আর্টিকেল লিখে তাদেরকে মূলত আর্টিকেল রাইটার বলা হয়। মোটকথা, কোন একটি বিষয় লেখালেখির মাধ্যমে পাঠকের সামনে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরাকেই আর্টিকেল রাইটিং বলা হয়ে থাকে। আপনারা বিভিন্ন নিউজ পেপার, ম্যাগাজিন কিংবা কোন ব্লগে যেই লেখাগুলো দেখেন সেগুলোই মূলত আর্টিকেল।

একজন আর্টিকেল রাইটার কোন একটি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে ধারণা নিয়ে তা লেখার মাধ্যমে পাঠকের সামনে তুলে ধরে। আর যে বিষয়টি সম্পর্কে সুন্দরভাবে লিখে সে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছে সেটিই হলো আর্টিকেল। আর্টিকেল মূলত সকল পাঠকদের কথা চিন্তা করেই লেখা হয়ে থাকে। এখন যে বিষয়টি আপনারা পড়ছেন তা হলো বাংলা আর্টিকেল সম্পর্কে। মূলত এটিও একটি আর্টিকেল। এখন আশা করছি আর্টিকেল রাইটিং কি? এই সম্পর্কে আপনাদের সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।

বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব

বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব সম্পর্কে আপনাদের একটু ধারণা দিই। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা বাংলা আর্টিকেল রাইটিং জব করতে চাই। বাংলা কনটেন্ট রাইটিং জব করার জন্য প্রথমত আপনাকে বাংলা কনটেন্ট লেখা জানতে হবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের ধরন তথা ফরমেটিং বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে লেখার বিষয়বস্তু এবং গঠন বিন্যাস সব ওয়েবসাইটেই প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। কাজেই, বাংলা কন্টেন্ট লেখার জন্য প্রথমত আপনাকে বাংলা ভাষার প্রতি জ্ঞান রাখতে হবে।

তাহলে আপনি বাংলা আর্টিকেল রাইটিং জব করতে পারবেন। কারণ একটি আর্টিকেলে সুন্দর ভাষা ব্যবহার করলে সে আর্টিকেলটি অত্যন্ত প্রাণবন্ত হয়। আর আপনি আর্টিকেল রাইটিং জব করার ক্ষেত্রে যদি সুন্দর ভাষা ব্যবহার করে আর্টিকেলটি লিখতে পারেন তবে আপনার বেতন অন্যান্য রাইটারদের তুলনায় বেশি হবে। উপরোক্ত যেই ওয়েবসাইটগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো সেই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি বাংলা আর্টিকেল রাইটিং জব করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট গুলোর কাঙ্খিত নীতিমালা মেনে আপনি সেই ওয়েবসাইট গুলোতে জবের জন্য এপ্লাই করতে পারেন। বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য এবং কন্টেন্ট রাইটিং জব করার জন্য আপনার বাংলা ভাষার প্রতি সুন্দর দক্ষতা, বানান সতর্কতা এবং কথাগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে লিখতে পারার দক্ষতা থাকলেই হবে। আর আপনি যেই ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখবেন সেই ওয়েবসাইটের ফরমেট অনুসরণ করে কাঙ্খিত নীতিমালা মেনে আর্টিকেল লিখলেই আপনি বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব করতে পারবেন।

আমরা অযথা সময় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নষ্ট না করে এই সময়টুকু কে কাজে লাগিয়েই বাংলা আর্টিকেল রাইটিং জব করতে পারি। এর জন্য শুধু প্রয়োজন আপনার নিজের ইচ্ছা শক্তির। আশা করছি বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং জব সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।

কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়

কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জিজ্ঞাসা করি। কনটেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আপনাকে কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ শুধু একটি লেখা লিখলেই বাংলা আর্টিকেল হবে না। এর জন্য বিশেষ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। আপনাকে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনি এই আর্টিকেলটি দেখে ধারণা নিতে পারেন। কারণ এই আর্টিকেলটি সকল নীতিমালা অনুসরণ করেই লেখা হয়েছে।

তাছাড়া বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায় হল আপনাকে কাঙ্খিত টপিকের উপরে কৌশল অবলম্বন করে লিখতে হবে। কোন কিওয়ার্ড কোথায় ব্যবহার করলে সেটি মার্জিত এবং সুন্দর দেখাবে এই বিষয়টি আপনাকে বুঝতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি আপনাকে কিওয়ার্ড সম্পর্কে যথেষ্ট গবেষণা করে সে সম্পর্কে লিখতে হবে। মোটকথা, কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ ছাড়া আর্টিকেল লিখলে সেটি গুগলে র‍্যাঙ্ক করানো খুব কষ্টকর হয়ে যাবে।
কন্টেন্ট-রাইটিং-কেন-প্রয়োজন
এই ছোটখাটো নিয়ম কানুন গুলো বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়। তাছাড়া সবসময়ই কনটেন্ট রাইটিং এর সময় পাঠকের সুযোগ সুবিধা এবং পাঠকের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এই আর্টিকেলটি পাঠক কেন পড়বে? তাদের কোন বিষয়টি একান্তই জানা প্রয়োজন এই আর্টিকেল থেকে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে এবং এই তথ্যগুলো আপনার আর্টিকেলের মধ্যে থাকতে হবে। এভাবেই একটি বাংলা আর্টিকেল রচনা করা সম্ভব।

আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন এই আর্টিকেলটি পড়ে একজন পাঠকের যেন সমস্ত জানার ইচ্ছা এবং পাঠক যে বিষয়টি জানতে চাই সে বিষয়টি যেন আপনার আর্টিকেলের মধ্যে থাকে সেটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে অবশ্যই একটি আর্টিকেল লিখবেন। এতক্ষণ আপনাদের সাথে বাংলা কন্টেন্ট রাইটিং শেখার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আশা করছি বিষয়গুলো বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

কন্টেন্ট রাইটিং কেন প্রয়োজন

কন্টেন্ট রাইটিং কেন প্রয়োজন? এখন আমরা এই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। আমরা সকলেই কিন্তু সব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানিনা। মূলত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার তাগিদেই আমাদের বাংলা কনটেন্ট রাইটিং প্রয়োজন। আমরা কোন বিষয় সম্পর্কে না জানলে প্রথমত গুগলে সার্চ করি। আর গুগল, আপনি কি বিষয়ে সার্চ করেছেন তার ফলাফল আপনার সামনে শো করায়। এটি কিভাবে হয়? আপনি যে বিষয়ে সার্চ করেছেন সেই তথ্যটি কেউ না কেউ গুগলে সাবমিট করে রেখেছে।

তাই আপনার সার্চের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে গুগল আপনাকে কাঙ্ক্ষিত রেজাল্টটি দেখাতে পারছে। যার ফলে আপনি যে বিষয়টি জানতেন না সেটিও জানা হচ্ছে। মূলত অজানা বিষয়কে জানার জন্যই কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজন রয়েছে। আর মানুষের জানার চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাবে। তা কখনো কমবে না। কাজে্‌ কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদাও কমবে না। আপনি যে বিষয় সম্পর্কে জানেন না সেই বিষয়ে হয়তোবা অন্য কেউ অনেক ভালোভাবে জানে।

এখন সে যদি আপনার সেই অজানার বিষয় সম্পর্কে আর্টিকেল লিখে গুগলে সাবমিট করে তাহলে আপনি গুগলে সার্চ দিলে সেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফলটি দেখতে পাবেন। ফলে আপনার সেই অজানা তথ্যটিও জানা হয়ে যাবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন বিভিন্ন অজানা তথ্য সন্ধানের জন্য অবশ্যই কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে যারা কন্টেন্ট রাইটিং করে তাদের চাহিদা ব্যাপক।

আপনি যদি একজন ভালো মাপের কন্টেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন তবে আপনিও কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে ভালো মানের একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। আর কনটেন্ট রাইটারদের চাহিদা কখনোই কমবে না। কারণ মানুষের জানার চাহিদা তো কখনোই কমবে না। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কন্টেন্ট রাইটিং কেন প্রয়োজন? মূলত বিভিন্ন অজানা তথ্য যেটা আমরা জানি না সেই বিষয়ে জানার জন্যই কনটেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজন রয়েছে।

এখন আশা করছি কন্টেন্ট রাইটিং কেন প্রয়োজন? এই বিষয় সম্পর্কে আপনি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য

পরিশেষে, এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করেছেন। এর পাশাপাশি বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা আয় কিভাবে করা যায় সেই বিষয় সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে এবং আর্টিকেল লেখালেখি সম্পর্কে আপনার সুস্পষ্ট একটি ধারণা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোথাও বুঝতে অসুবিধা মনে হয় তবে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে জানাবেন।

আমি চেষ্টা করব আপনার সমস্যার সমাধানের জন্য। আর এই আর্টিকেলটি যেভাবে লেখা হয়েছে এবং যে ফর্মেটিং অনুসরণ করা হয়েছে এটি হলো মূলত আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার এতটুকুও উপকার মনে হয় তবে অবশ্যই আপনার পরিচিতজন এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাদেরও আর্টিকেল রাইটিং এর বিষয়টি জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। এই ওয়েবসাইটে নিত্যনতুন সব আপডেট এবং পরীক্ষিত খবর প্রকাশ করা হয়।

তাই প্রতিদিনের সব আপডেট তথ্য সবার আগে পেতে চাইলে আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করার জন্য অনুরোধ রইলো। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা করছি। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করছি। পাশাপাশি আপনারাও মহান আল্লাহর নিকট আমার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

M.F. Hossain ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url