মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং - অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত জানবো। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? এই বিষয়টিও আমরা জানার চেষ্টা করব।মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় সম্পর্কে জানা থাকা আমাদের সকলেরই প্রয়োজন। তাই চলুন মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-করে-আয়
বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর যাবতীয় বিষয় আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং - অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

ভূমিকা | মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং - অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা। এর পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট বা এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধাসহ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরো খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কাজেই, আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারবেন। তাহলে আমি আশা করব আপনি একজন সুপ্রিয় পাঠক হিসেবে এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জ্ঞান অর্জন করবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় ফিরে যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

ভিন্ন কোনো প্রতিষ্ঠানের কোন জিনিস বা পণ্য কমিশনের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সংক্ষেপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে, ধরুন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে দারাজের একটি পণ্য কেনার লিংক দিয়ে রেখেছেন এখন কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে এসে সেই পণ্যটি তার প্রয়োজন হয় এবং এই লিঙ্কে প্রবেশ করে দারাজে গিয়ে সে পণ্যটি ক্রয় করে তবে আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন। 
এই যে কমিশন পেলেন বা টাকা ইনকাম করলেন এই সিস্টেমটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। মোট কথা, অন্যের প্রোডাক্ট আপনি নিজে রেফার করার মাধ্যমে বিক্রি করে দিলে বিক্রিকৃত পণ্য থেকে যে কমিশন পাবেন সেটাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আশা করি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব? এই প্রশ্নটি দীর্ঘদিনের। আমরা সবাই চাই ঘরে বসে ইনকাম করতে। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে অনেকেই পেরে উঠি না। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব এই সম্পর্কে এখন আমরা জানব। চলুন আপনাদের স্টেপ বাই স্টেপ বিষয়টি বুঝিয়ে বলি।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে প্রথমেই আপনার যে জিনিসটি প্রয়োজন হবে সেটি হচ্ছে আপনার একটি ব্লগ ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ থাকতে হবে।
  • আপনার ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক, ভিজিটর বা লাইক থাকতে হবে। কারণ আপনি যে প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সেটা আপনার অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছাতে হবে। আর এর জন্য অনেক ভিজিটর আপনার সাইটগুলোতে প্রতিদিন থাকা প্রয়োজন। যাদেরকে নিয়ে আপনি মার্কেটিং করবেন।
  • তারপর আপনাকে বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন করতে হবে। জয়েন করার পরে আপনি যে প্রোডাক্টটি নিয়ে মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন সেটা আপনার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে হবে।
  • সেই প্রোডাক্টটির জন্য আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে দেয়া হবে। মূলত এই লিংকটি আপনার বিভিন্ন সাইটে শেয়ার করতে হবে। যেখানে ক্লিক করলে মানুষ ওই পণ্যটি কেনার জন্য কাঙ্খিত ওয়েবসাইটে চলে যাবে।
  • তারপর সেই মানুষটি যদি আপনার শেয়ারকৃত লিংকে প্রবেশ করে ওই পণ্যটি কিনে তাহলে আপনি একটি কমিশন পাবেন এবং এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
এতক্ষণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব এই বিষয়টি আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। উপরে যে ধাপগুলো দেওয়া হলো সেগুলো স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করলে আপনি আসলে মার্কেটিং করতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট | এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস

এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট বা এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে এখন আমাদের জানতে হবে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। এখন বেশ কিছু জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট সম্পর্কে আপনাদের বলব। এফিলিট মার্কেটিং সাইট গুলো নিম্নরূপঃ
  • অ্যামাজন (Amazon) এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • আলিবাবা (Alibaba) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • বিডিশপ (BD Shop) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • দারাজ (Daraz) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • সহজ (Shohoz) এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • স্বপ্নবাড়ি (Shopnobari) অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম
  • পপুলার হোস্ট বিডি (Popular host BD) এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ডায়ানাহোস্ট (Dianahost) এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • হোস্টিং বাংলাদেশ (Hosting bangladesh) এফিলিয়েট প্রোগ্রাম
  • সহজসেল (Shohozcell) এফিলিয়েট প্রোগ্রাম
  • রেপটো অনলাইন এডুকেশন (Repto Online Education) এফিলিয়েট প্রোগ্রাম
  • ক্লিকব্যাংক (Clickbank) এফিলিয়েট প্রোগ্রাম
  • রাকুটেন (Rakuten) এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • শেয়ার এসেল (ShareAsale) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ই-বে (eBay) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
এগুলোই হলো মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট বা এফিলিয়েট মার্কেট প্লেস।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। এখন আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমান সময়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং জনপ্রিয় একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রায় সকলেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মোটামুটি ভালো মানের টাকা পয়সা ইনকাম করছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা নিম্নরূপঃ
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রথম সুবিধা হচ্ছে এর দ্বারা প্যাসিভি ইনকাম নিশ্চিত হয়।
  • এফিলিয়েটমার্কেটিং এ ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একেবারে বিনামূল্যে শুরু করা যেতে পারে। শুধুমাত্র আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস গুলোতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  • যেকোনো পণ্য বেছে নিয়ে নিজ স্বাধীনতা অনুযায়ী এফিলিয়েট করা যায়।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং এ পূর্ববর্তী কোনো অভিজ্ঞতা বা যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কার্যপ্রণালী অনেক সহজ তাই সবাই করতে পারে।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ভালো একটি ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা। আশাকরি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা আজকে আমাদের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়। বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন এফিলিয়েট মার্কেটারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে সাথে সাথে মানুষের পণ্যের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত অন্যের জিনিস রেফার করে সেখান থেকে টাকা উপার্জন করা। সঠিকভাবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারলে খুব ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

বর্তমান সময়ে অনেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বিপুল পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস গুলোতে নিজের একাউন্ট তৈরি করতে হবে যেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করবেন। তারপর এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে আপনাকে যে পণ্যের মার্কেটিং করবেন সে পণ্যের লিঙ্ক দিয়ে দিবে। আপনার কাজ হবে এই লিংকটি আপনার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা।
তারপর আপনার ওয়েবসাইট কিংবা বিভিন্ন পেজে যেসব ভিজিটররা আসবে তারা যদি সেই বিজ্ঞাপনটি দেখে মনে হয় তাদের প্রয়োজন তাহলে তারা সেই লিংকে প্রবেশ করে মূল ওয়েবসাইটে ফিরে যাবে। তারপর যদি কাঙ্খিত পণ্যটি সেখান থেকে ক্রয় করে আর তার ভিত্তিতে আপনি কমিশন পাবেন অর্থাৎ লোকটি সেই পণ্য কিনার দরুন অ্যাফিলিয়েট কোম্পানি আপনাকে কিছু টাকা দেবে। এভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়। 

উপরে যেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর তালিকা দেওয়া হয়েছে আপনি চাইলে সবগুলোতেই নিজের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। এতে করে সকল ওয়েবসাইটের পণ্য নিয়ে যদি আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে মাস শেষে দেখবেন আপনার প্রচুর টাকা ইনকাম হচ্ছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত খুবই জনপ্রিয় একটি প্যাসিভ ইনকাম সাইট। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে কোন বয়সের প্রয়োজন হয় না কিংবা কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। 

তরুণ থেকে শুরু করে কিশোর এবং বয়স্ক সবাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারে এবং ইনকাম করতে পারে। মোটকথা, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম একটি ডিজিটাল এবং স্মার্ট পদ্ধতি। অযথা সময় নষ্ট না করে আপনি সেই সময়কে কাজে লাগিয়েই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। যেটা আপনাকে পরবর্তীতে আরো ভালো পজিশনে রাখবে। কারণ দুনিয়াতে টাকা ছাড়া কেউ মূল্য দিতে চায় না। এটা আমি আপনি সবাই জানি। কাজেই, সময় নষ্ট না করে আজই নেমে পড়ুন আপনার লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে। 

অল্প বয়স থেকেই আমাদের টাকার মূল্য বুঝতে হবে। আর টাকা ইনকাম করতে হলে ব্যবসা তথা বিভিন্ন অনলাইন বিজনেস এর বিকল্প নেই। যারা একদম প্রথম থেকে শুরু করতে চান তাদেরকে বলব আপনি আগে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন। ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস গুলো সম্পর্কে আগে ধারণা অর্জন করতে হবে। মোটকথা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে হলে আপনার পূর্ববর্তী কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। কাজেই ,আপনি আজকে থেকেই শুরু করুন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা। আশা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা আজকের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়। বর্তমান সময়ে আমাদের সকলের কাছে কমবেশি স্মার্টফোন রয়েছে। আর আমরা এই স্মার্টফোন ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারি। অনেকেই আছি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাই কিন্তু কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করব? কিংবা কোথায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করব? এই বিষয়গুলো বুঝতে পারি না। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এখানে আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা। আমরা মোবাইল ফোন দিয়ে ফেসবুক, মেসেঞ্জার অথবা অযথা ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করি। কিন্তু আপনি এই সময়টাকে কাজে লাগিয়েই আপনার টাকা ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারেন। সেটা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে। আপনার হাতে থাকা সেই মোবাইল ফোনটিকে কাজে লাগিয়েই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন শিখিয়ে দিচ্ছি। 

ধরুন, আপনার একটি ব্লগ ওয়েবসাইট আছে অথবা ইউটিউব চ্যানেল আছে এবং সেখানে আপনি নিয়মিত ভালোমতো ভিজিটর পান। এটা থেকে তো ইনকাম হবেই পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটকে কাজে লাগিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। ধরুন আপনি একটি আর্টিকেল লিখেছেন ডিএসএলআর (DSLR) ক্যামেরা সম্পর্কে এবং আপনার এই পোস্টটি গুগল র‍্যাঙ্কে প্রথম পেজে আছে। এখন এই পোষ্টের মধ্যে আপনি বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস থেকে ডিএসএলআর (DSLR) ক্যামেরার লিংক এই পোস্টের মধ্যে রেখে দিতে পারেন। 

যেখানে ক্লিক করলে ডিএসএলআর (DSLR) ক্যামেরা বিক্রির মূল পেজে নিয়ে চলে যাবে। এখানে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ডিএসএলআর (DSLR) ক্যামেরার লিঙ্ক দিতে পারেন। তারপর আপনার ভিজিটরগণ যখন আপনার পোস্টটি পড়বে এবং দেখবে এই লিংকে চাপ দিয়ে ডিএসএলআর (DSLR) ক্যামেরা কেনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাবে। তখন তারা ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার জন্য সেই কাঙ্খিত ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবে এবং ক্যামেরাটি পছন্দ হলে সেখান থেকে নিয়ে নিবে। 

এভাবে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব। আমি যেই প্রসেসটির কথা বললাম এটা শুধু ক্যামেরার ক্ষেত্রেই নয় বরং আপনি বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আর্টিকেল লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার পরে সেই পণ্যটির লিংক আপনার ওয়েবসাইটে রেখে দিবেন।
এতে করে আপনার আর্টিকেল থেকে তো ইনকাম হবেই পাশাপাশি যেগুলোর এফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন এবং ভিজিটরগণ আপনার ওয়েবসাইটে এসে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কে ক্লিক করে অন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সেখান থেকে কাঙ্খিত পণ্যটি কিনছে। সেক্ষেত্রে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কাঙ্খিত কোম্পানিটির কাছ থেকে টাকা পাবেন। এই কাজগুলো সম্পূর্ণ মোবাইল ব্যবহার করে আপনি করতে পারবেন। 

আবার ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রেও একই। আপনার ইউটিউব ভিডিওর মধ্যে ডেসক্রিপশন বক্সে পণ্যটির লিঙ্ক দিয়ে দিবেন এবং যে পণ্যটির লিংক দিবেন সেটা আপনি ভিডিওতে বলে দেবেন। এক্ষেত্রে যারা ভিডিও দেখবে তাদের যদি পণ্যটি প্রয়োজন হয় তবে সেই লিংকে গিয়ে পণ্যটি কিনতে পারবে। এক্ষেত্রেও আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং হয়ে যাবে। এই কাজগুলো মোবাইল, ল্যাপটপ যে কোন টি ব্যবহার করে করতে পারেন। আশা করি মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং - অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় সহ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি আশা করি আপনি আর্টিকেলটি পড়ে সবগুলো বিষয় ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আর কোন বিষয় যদি আপনার বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে জানাতে পারেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার সমস্যার সমাধানের জন্য। 

আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার একটুও উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং তাদেরকেও মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার বিষয়টি জানার সুযোগ করে দিন। আর বিভিন্ন আপডেট খবর সব সময় সবার আগে পেতে চাইলে আমার এই ওয়েবসাইটটির (M.F. Hossain) সাথেই থাকুন এবং ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সাপোর্ট দিন। আপনাদের সাপোর্টের জন্য আমি যেন উৎসাহিত হয়ে আরো নতুন বিষয় আপনাদের সামনে নিয়ে আসতে পারি এবং আপনাদের পাশে থাকতে পারি। 

আমি চেষ্টা করি সব সময় সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের পাশে থাকার জন্য। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। সকলের সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এই দোয়াই করি। পাশাপাশি আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

M.F. Hossain ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url