ব্যবসা করার ১৫টি টিপস - চাকরি নাকি ব্যবসা করবেন দেখুন

চাকরি নাকি ব্যবসা এবং ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে চাকরি নাকি ব্যবসা এবং ব্যবসা করার টিপস এর সাথে সাথে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কেও জানতে পারবেন। তাহলে চলুন চাকরি নাকি ব্যবসা এবং ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
চাকরি-নাকি-ব্যবসা
আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে যারা ব্যবসা করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক হেল্পফুল হবে। কারণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ব্যবসার অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ চাকরি নাকি ব্যবসা - ব্যবসা করার টিপস

ভূমিকা | চাকরি নাকি ব্যবসা - ব্যবসা করার টিপস

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা চাকরি নাকি ব্যবসা এবং ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এর পাশাপাশি উদ্যোক্তা বনাম চাকরি, চাকরি এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য এবং বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সহ এই সংক্রান্ত আরও যাবতীয় বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। এই বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 

আপনি যদি নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান কিংবা আপনার যদি একটি ব্যবসা থেকে থাকে অথবা আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আশা করছি ব্যবসা এবং চাকরি সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি জানতে পারবেন। তাহলে আমি আশা করব আপনি একজন সুপ্রিয় পাঠক হিসেবে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

উদ্যোক্তা বনাম চাকরি

উদ্যোক্তা বনাম চাকরি এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। আমরা অনেকেই আছি যারা উদ্যোক্তা বনাম চাকরি এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করে থাকি। তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমাদের এই আলোচনা। আলোচনার শুরুতেই বলে রাখি উদ্যোক্তা হলো আপনি নিজের উদ্যোগে অর্থাৎ নিজের মেধা এবং পরিশ্রমের দ্বারা কোন একটি প্রতিষ্ঠান অথবা কেন্দ্র বা নিজের ব্যবসা দাঁড় করানোকে বোঝায়। 

আর চাকরি বলতে অন্যের অধীনে কর্মরত থাকাকে বোঝানো হয়। উদ্যোক্তা হলে আপনি নিজের ইচ্ছামত কাজকর্ম পরিচালনা করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি হবেন সকলের প্রধান। আপনার অধীনে অনেক লোকজন কর্মরত থাকবে।
তখন আপনি হবেন উদ্যোক্তা। আর আপনার অধীনে যারা কর্মরত অর্থাৎ কাজ করছে তার মানে তারা চাকরি করছে। তাহলে চাকরি মানে অন্যের অধীনে কর্মরত বা কাজ করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। যে কাজের বিনিময়ে তাকে মাসিক একটি বেতন প্রদান করা হয়। তাহলে বোঝা যাচ্ছে চাকরি থেকে আপনি উদ্যোক্তা হতে পারলে বেশি ভালো হবে। 

কিন্তু উদ্যোক্তা হতে হলে আপনার প্রাথমিক কিছু মূলধন প্রয়োজন। আর উদ্যোক্তা হতে হলে প্রথমত অনেক পরিশ্রম এবং মেধার সহিত কাজ করতে হবে। তারপর প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যবসাটি ভালো পর্যায়ে চলে গেলে তখন আর সেরকম পরিশ্রম করতে হবে না। আর আপনি যদি পরিশ্রম আরো বেশি করেন তাহলে আপনার আয় ইনকামও অনেক বেশি হবে। আর চাকরির ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় না। আপনার যে বেতন সে বেতনই পাবেন। 

তাই ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় চাকরির থেকে উদ্যোক্তা হওয়া অনেক ভালো। উদ্যোক্তা হলে আপনি নিজের তো কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করলেনই, আবার অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিলেন। এটা অনেক ভালো একটি কাজ। মোটকথা, আপনার যদি প্রাথমিক মূলধনটি থেকে থাকে তাহলে আপনি যে কোন কিছু দিয়েই শুরু করে সেখান থেকে উদ্যোক্তা হতে পারেন। এতক্ষন আপনাদের উদ্যোক্তা বনাম চাকরি এই বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করলাম। আশা করছি উদ্যোক্তা বনাম চাকরি এই বিষয়টি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

চাকরি এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য

চাকরি এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি চাকরি এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য কি এই বিষয়টি জানতে পারবেন। আমাদের মাঝে অনেককে দেখা যায় লেখাপড়া শেষ করে চাকরি না পেয়ে হতাশায় দিন কাটাই। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই চাকরির চেয়ে উত্তম হলো ব্যবসা করা। আমরা অনেকেই আছি যারা চাকরির পিছনে অনেক টাকা পয়সা খরচ করে চাকরি না পেয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছি। 

তারা যদি সেই টাকা পয়সা ব্যবসার পিছনে বিনিয়োগ করে পরিশ্রম এবং সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করবে। চাকরি এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য হল এর কাজ এবং সময়ে। চাকরি হলো মূলত একটি নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী একক কাজ। অর্থাৎ আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই কাজটি করতে হয়। পাশাপাশি ব্যবসা হল একটি দীর্ঘমেয়াদি কাজের পরিকল্পনা যেখানে আমাদের জীবনের লক্ষ্যের সাথে বিষয়টি জড়িয়ে থাকে। 

আপনি চাকরি করলে নির্দিষ্ট কাজ করার পরে মাস শেষে আপনি সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকায় পাবেন। এর চেয়ে বেশি টাকা হবে না। আপনি যার অধীনে চাকরি করছেন সে আপনাকে কখনোই আপনার বেতনের চেয়ে বেশি টাকা দেবে না। পাশাপাশি আপনি যদি ব্যবসা পরিচালনা করেন তাহলে আপনি আপনার ব্যবসায় যত পরিশ্রম এবং সততাকে কাজে লাগাবেন আপনার ইনকামও দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। যেটা চাকরির ক্ষেত্রে সম্ভব না। চাকরি এবং ব্যবসা দুটো দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব। 

তবে আপনি যদি ব্যবসা করেন তাহলে জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি আপনার জীবন যাপন অত্যন্ত সুখের হবে। আর চাকরি করলে জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব হবে কিন্তু আপনার অত্যন্ত দামি দামি সব স্বপ্ন পূরণ করতে আপনি হিমশিম খাবেন। যেটা ব্যবসার ক্ষেত্রে সম্ভব। মোট কথা, ব্যবসা করলে আপনি চাকরির তুলনায় অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে সঠিক পরিশ্রম এবং আপনার মেধা ও সততাকে কাজে লাগাতে হবে। 

এতক্ষণ আপনাদের চাকরি এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য কি এই বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করলাম। এখন আশা করছি চাকরি এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য কি এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি? আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইনে ব্যবসা করা অর্থাৎ ই-কমার্স বিজনেস। 

এই ব্যবসাটি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবেন। আর বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটা বৃদ্ধি পাওয়াই অনলাইন বিজনেসের সম্ভাবনার দ্বার অনেক প্রশস্ত হয়েছে। এরপরে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে আরেকটি হলো হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসা। হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসায় কোন লস নেই বললেই চলে।
বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটিতে প্রচুর টাকা পয়সা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে। প্রথমত কিছু টাকা পয়সা খরচ করে একটি হোটেল করলে আস্তে আস্তে সেখান থেকে আপনি বড় পর্যায়ে আপনার ব্যবসাকে নিয়ে যেতে পারবেন। আর এর জন্য আপনাকে সঠিক পরিশ্রম করতে হবে। এরপরে যেই ব্যবসাটির আইডিয়া আপনাদের দেবো সেটিও বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে একটি। 

ব্যবসাটি হলো কাপড়ের শোরুম এর ব্যবসা। কাপড়ের যেহেতু কোন এক্সপায়ার ডেট নেই। তাই এই এই ব্যবসায় কোন জিনিসই নষ্ট হয় না। আর লাভও প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। এর তালিকায় আরেকটি ব্যবসা রয়েছে সেটি হল গরু ছাগলের ফার্ম বিজনেস। আপনি চাইলে ফার্ম বিজনেস শুরু করতে পারেন। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফার্ম ব্যবসা। আবার লাভজনক ব্যবসা গুলোর তালিকায় আরেকটি ব্যবসা রয়েছে সেটি হলো ফার্মেসি ব্যবসা। 

ফার্মেসি ব্যবসা করেও খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক টাকা পয়সা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এর জন্য আপনাকে প্রাথমিক ট্রেনিং এবং টাকা-পয়সার প্রয়োজন। আবার লাভজনক ব্যবসা গুলোর তালিকায় আরেকটি যে ব্যবসা রয়েছে সেটি হল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা করেও অনেকে প্রচুর টাকা পয়সা ইনকাম করছে। 

কাজেই, আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবসা করতে পারেন। এতক্ষণ আপনাদের সাথে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি এখন বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

ব্যবসা করার টিপস

ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে আমরা অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে জেনে তারপর যেকোন ব্যবসায় নামা উচিত। কাজেই, আপনি যদি ব্যবসা করার টিপস এবং কৌশল সম্পর্কে সম্পর্কে না জানেন তাহলে আজকের এই আর্টিকালের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে নিন। কারণ ব্যবসা করতে হলে কৌশলী না হলে আপনি ব্যবসায় উন্নতি করতে পারবেন না। 

কাজেই, ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে ব্যবসা শুরু করার পূর্ব মুহূর্তে। ব্যবসা করার প্রথম টিপস হল ব্যবসা সম্পর্কে আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা করা এবং সেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা। পাশাপাশি ব্যবসা করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস হল অবশ্যই আপনাকে অন্যান্যদের থেকে কৌশলী হতে হবে। তাহলে আপনি ব্যবসায় তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করবেন। যদি আপনি নতুন ব্যবসা শুরু করে থাকেন তাহলে অবশ্যই প্রথম প্রথম ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ হবেই। 

কিন্তু এই ভুল থেকে অবশ্যই শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এবং পরবর্তীতে যেন ব্যবসায় এরকম ভুল আর না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস ব্যবসা করার জন্য। অর্থাৎ ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ব্যবসা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আর ব্যবসায় সফলতা লাভের জন্য অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ধৈর্যধারণ পাশাপাশি সঠিক পরিশ্রম এবং আপনার সততাকে যদি আপনার ব্যবসায় কাজে লাগাতে পারেন তাহলে অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি আপনি সফল হবেন। 

এটিও ব্যবসা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস। আবার ব্যবসা করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপসটি হল টাকার হিসাব সবসময়ই সঠিক ভাবে রাখা অর্থাৎ অর্থ ব্যবস্থাপনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া। কারণ আপনার ব্যবসা কতদূর এগোবে তা অনেকাংশেই আপনার কৌশল এবং পুঁজির ওপর নির্ভর করে। ব্যবসার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস হল ব্যবসায় ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকা। কারণ ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ব্যবসার ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে হবে। 

বিশ্বসেরা বিলিনিয়ার ইনভেস্টর ওয়ারেন বাফেট ঝুঁকি নিয়েই কিন্তু বিভিন্ন ব্যবসায় ইনভেস্ট করতেন। যার ফলে তিনি বিলিনিয়ার হতে পেরেছেন। কাজেই, ব্যবসায় ঝুঁকি নেওয়াটা একটি বড় টিপস হতে পারে। ব্যবসার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস হচ্ছে আপনি আপনার মূলধনকে বিভিন্ন জায়গায় ইনভেস্ট করে রাখবেন এবং কিছু টাকা আপনার কাছে সঞ্চয় হিসেবে রেখে দেবেন। যাতে করে কোন ব্যবসায় লসের সম্মুখীন হলে পরবর্তীতে বাকি টাকাটা ইনভেস্ট করে সেখান থেকে উঠে আসতে পারেন। 

আর কৌশলে ব্যবসা করলে ইনশাল্লাহ আপনি সফল হবেন। এগুলোই হলো মূলত ব্যবসা করার টিপস। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

চাকরি নাকি ব্যবসা

চাকরি নাকি ব্যবসা করব, কোনটা ভালো হবে এরকম প্রশ্ন আমরা অনেকেই করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি চাকরি নাকি ব্যবসা কোনটা ভালো হবে আপনার জন্য এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়ই হলো চাকরি নাকি ব্যবসা। এই বিষয়টি অবশ্যই আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। চাকরি এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য কি আপনারা ইতিমধ্যে তা জেনেছেন। আলোচনার শুরুতেই একটি বিষয় বলে রাখা ভালো যে, আপনি চাকরি করবেন নাকি ব্যবসা করবেন এটা একান্ত আপনার উপরই নির্ভর করছে। 

চাকরি অথবা ব্যবসা করা এটা একান্তই নিজের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। আপনার যদি ব্যবসা করার মতো সেরকম ধৈর্য্য এবং মনবল না থাকে তবে আপনার জন্য চাকরি উত্তম হতে পারে। আবার আপনার যদি চিন্তা চেতনা এরকম হয় যে আপনি অন্যের অধীনে কাজ করবেন না। আপনি নিজেই আপনার বস হবেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যবসার দিকে ঝুঁকতে হবে।
কাজেই, চাকরি নাকি ব্যবসা এই সিদ্ধান্তটা একান্তই আপনার উপরই নির্ভর করছে। আমাদের মাঝে অনেককেই চাকরি নাকি ব্যবসা করব এই বিষয় নিয়ে অনেক ডিপ্রেশনে ভুগে। এই সিদ্ধান্তটা আপনাকেই নিতে হবে। তবে বলে রাখি আপনি যদি ব্যবসা শুরু করেন এবং আপনার ব্যবসায় যদি সঠিক পরিশ্রম করেন পাশাপাশি আপনার মেধা এবং সততাকে কাজে লাগান তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করবেন। ব্যবসা করলে নিজের একটি স্বাধীনতা থাকবে। 

যেটা চাকরির ক্ষেত্রে পাবেন না। চাকরি মানে হলো সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা অর্থাৎ অন্যের অধীনে কাজ করা। অন্যের কথামতো আপনাকে যথা সময়ে অন্যের সুবিধা অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে। আর ব্যবসা করলে আপনার স্বাধীন মত আপনি কাজ করতে পারবেন। আর চাকরির চেয়ে ব্যবসায় কিন্তু টাকা পয়সা বেশি ইনকাম করা সম্ভব এটা আমরা সবাই জানি। তাহলে তো এখন আপনাদের প্রশ্ন জাগতেই পারে তাহলে সবাই চাকরি কেন করে? ব্যবসা করলেই তো সবকিছু সমাধান হয়ে যায় তাই না? বিষয়টা এমন না। 

ব্যবসা করতে হলে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। যেটা অনেকের থাকে না তাই ব্যবসা করতে পারেনা। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় চাকরি অপেক্ষা ব্যবসা করাই ভালো। কারণ ব্যবসার প্রথম প্রথম একটু পরিশ্রম করে যদি একবার দাঁড় করাতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। কিন্তু চাকরির বিষয়টা মোটেও এমন না। আবার টাকা-পয়সার কথা চিন্তা করলেও ব্যবসা চাকরির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি এগিয়ে। 

আপনি আপনার ব্যবসায় যত পরিশ্রম করবেন আপনার ব্যবসা তত বড় হবে এবং ইনকামও দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর আপনি চাকরি করবেন নাকি ব্যবসা করবেন এটাতো একমাত্র আপনার উপরই নির্ভর করছে তাই না? এতক্ষণ আপনাদের চাকরি নাকি ব্যবসা এই বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করলাম। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি চাকরি নাকি ব্যবসা করবেন এই বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | চাকরি নাকি ব্যবসা - ব্যবসা করার টিপস

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে চাকরি নাকি ব্যবসা এবং ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত একটা আলোচনা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আমি চেষ্টা করব আপনার সকল সমস্যার সমাধান করার জন্য। 

আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি বিন্দুমাত্র উপকার মনে হয় তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাদেরও এই বিষয়টি জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর নিত্য নতুন এরকম আপডেট খবর সবার আগে পেতে চাইলে আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করুন এবং ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সাপোর্ট দিন। আমি সর্বদা চেষ্টা করি সঠিক তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। 

তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘোষনা করছি। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করছি। আর আপনারাও মহান আল্লাহর নিকট আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

M.F. Hossain ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url