ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন নতুন তথ্য - ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি আপডেট খবর

ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি? এই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয় এই বিষয়েও আমরা অনেকেই জানতে চাই। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি? এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ডিজিটাল-মার্কেটিং-এর-ভবিষ্যৎ-কি
কাজেই, আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের প্রত্যেকের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন - ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি

ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন

ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন এটি আজকে আমাদের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়। আমরা অনেকেই আছি যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর আয় ইনকাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকি। তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন এই বিষয়ে সুস্পষ্ট একটি ধারণা দেবো। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরটি মূলত অনেক বিশাল একটি সেক্টর।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর আয় নির্ভর করে আপনি কোন বিষয়ে কাজ করেন কিংবা সেই কাজে আপনি কতটা দক্ষ তার উপর। আলোচনার শুরুতেই আপনাদের জানিয়ে রাখি, ডিজিটাল মার্কেটিং করে যতটা আয় করা সম্ভব অন্যান্য মার্কেটিং এ সেটা সম্ভব হবে না। আপনি যদি একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে অন্তত লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তার মানে বছর শেষে আপনি ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন অনায়াসে।

কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে কাজগুলো অত্যন্ত দক্ষতার সাথে শিখতে হবে এবং কাজগুলোর প্রতি যথেষ্ট সময় দিতে হবে। আপনি যদি একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে বিস্তর জ্ঞান থাকে আপনার তবে আপনি এর থেকেও আরো বেশি বছরে ২০ লাখ এর মত অথবা এর থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সম্প্রীতি ফেসবুকে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ফাহমিদ আল নাঈম নামের এক ব্যক্তি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০ লাখ টাকার সেল করেছে।
ডিজিটাল-মার্কেটিং-শেখার-উপায়
তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা এক্সপেরিয়েন্স থাকলে একদিনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সেল করা যায়। এসবই সম্ভব হয়েছে তার ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতার জন্য। আবার আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষ হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি মার্কেটিং করে প্রতি মাসে অন্তত ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা অনায়াসেই ইনকাম করতে পারবেন। আর যারা অত্যন্ত দক্ষ তারা এর থেকেও আরও বেশি আয় করে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং করে।

আবার আপনি যদি এসইও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ইনকাম আরো বেশি হবে। কারণ বর্তমান মার্কেটপ্লেসগুলোতে এসইও এক্সপার্টদের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। আর এসইও এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি সেক্টর। কাজেই, বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আয় ইনকাম কোন নির্দিষ্ট নেই। আপনি যত বেশি আপনার কাজের প্রতি এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনার আয় ইনকামও তত বেশি হবে।

আপনাদের জানার সুবিধার জন্য এটিও বলে রাখা ভালো যে, একজন এসইও এক্সপার্ট প্রতি মাসে অনায়াসেই লাখ টাকার বেশি ইনকাম করে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং করে হিউজ পরিমাণে টাকা পয়সা ইনকাম করা সম্ভব। যেটা অন্য কোন সেক্টরে আপনি পারবেন না। আর এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনাকে অন্তত এক থেকে দুই বছর সময় দিতে হবে।

তাহলে আপনিও একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হবেন এবং আপনার আয় ইনকামও অন্যান্য সাধারণ চাকরিজীবীদের থেকে অনেক বেশি হবে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করলাম। এখন আশা করছি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন এই বিষয়টি পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন এই আর্টিকেলটি পড়ে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি? এখন আমাদের এই সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ একটি প্রশ্ন এসেই যায় যে, যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এতটাই জনপ্রিয় হয় তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি তাই না? চলুন আপনাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন এই সম্পর্কে একটু ধারণা দিই। এক কথায় বলতে গেলে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত চমৎকার এবং ডিজিটাল মার্কেটারদের চাহিদা কখনোই কমবে না। কিছু উদাহরণের মাধ্যমে আপনাদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলি।
মনে করুন, আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার এবং আপনার ব্যবসাকে আপনি ডিজিটালই মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন? তাহলে ফেসবুকে একটি পেজ অথবা বিভিন্ন গ্রুপে মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে বহু গুণে বাড়ানো সম্ভব। আপনি ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং করে যতটুকু সফল হবেন তার দিগুনেরও বেশি আপনার ব্যবসার ক্লায়েন্ট পাবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। কাজেই, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত ভালো এবং এর চাহিদা কখনোই কমবে না।

আবার ধরুন, আপনি একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার। আপনার ব্যবসা যদি নাও থাকে তবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারেন। কারণ বড় বড় কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যের পরিচিতি এবং অধিক সেল করার জন্য ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং করে থাকে। আর এক্ষেত্রে আপনি দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হলে সেখানে চাকরি করতে পারবেন অনেক টাকা বেতনে।

আবার আপনার পণ্যের ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং এর দ্বারা নিজ শহর এবং দেশ সহ সারা পৃথিবীব্যাপী প্রচার প্রচারণা করতে পারবেন। এতে আপনার ব্যবসার সেল অনেক বেড়ে যাবে। ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং করার দ্বারা আপনার কাঙ্খিত কাস্টমারকেই আপনি টার্গেট করতে পারবেন। যেটা প্রচলিত মার্কেটিং এ কখনোই সম্ভব না। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য একজন উদ্যোক্তা তার পণ্যকে বিশাল ভাবে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবে। যার ফলে তার ব্যবসার সেল কয়েক গুণে বেড়ে যাবে।

আর আমরা কে না চাই ব্যবসার সেল বৃদ্ধি করতে তাই না? যেহেতু মানুষের মধ্যে ব্যবসায়ী তথা উদ্যোক্তা হওয়ার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কাজেই, বোঝাই যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল আর এর চাহিদা কখনো কম হবে বলে আমার মনে হয় না। বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। আজকাল মানুষ তাদের শখ এবং পছন্দের জিনিসপত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনেই বেশি খোঁজাখুঁজি করে।

যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে কাজেই এটা বলায় বাহুল্য যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কতটা চমৎকার এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে আপনার ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনে। আবার ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ যদি ভালই না হবে তাহলে বড় বড় কোম্পানি এবং নামিদামি ব্র্যান্ডগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং করত না। এ কথা নিশ্চয়ই বুঝেছেন। বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানিগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তারা তাদের পণ্যের ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং করে থাকে।

আমরা সকলেই জানি পৃথিবীর যত বড় বড় কোম্পানি এবং নামকরা ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা সকলেই ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি প্রথমে মাথায় রাখে এবং তাদের পণ্যের প্রচার এবং প্রসার ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই করে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল বলেই তারা তাদের পণ্যের ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি? এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার করলাম। এখন আশা করছি আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি? এই সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সুস্পষ্ট একটি ধারণা পেয়েছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়

ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয় এই বিষয়ে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি। আজকে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়লে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কোন বিষয়গুলো শেখানো হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন। আলোচনার শুরুতেই বলে রাখা ভালো যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এ অনেকগুলো বিষয় শেখানো হয়। আপনি যদি কোথাও ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স সম্পূর্ণ করে থাকেন তবে অবশ্যই এই বিষয়গুলো শেখা উচিত।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে এর যেকোনো একটিতে দক্ষ হতে পারলে আপনি হয়ে উঠবেন একজন ডিজিটাল মার্কেটার। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নিই ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোন বিষয়গুলো শেখানো হয়ে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয় তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও (SEO)।
  • ফেসবুক মার্কেটিং।
  • ইউটিউব মার্কেটিং।
  • পিন্টারেস্ট মার্কেটিং।
  • ইমেইল মার্কেটিং।
  • এসএমএস মার্কেটিং।
  • কনটেন্ট মার্কেটিং।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
  • ড্রপশিপিং বিজনেস।
  • সিপিএ (CPA) মার্কেটিং।
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং।
  • টুইটার মার্কেটিং।
  • লিংকডইন বিটুবি মার্কেটিং।
  • ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং।
  • মোবাইল মার্কেটিং।
  • লিড জেনারেশন।
  • ভিডিও এডিটিং।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন।
  • ওয়েবসাইট এনালাইসিস করা।
  • নিজের ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করা।
  • নিজের ডিজিটাল এজেন্সি তৈরি করা।
  • ই-কমার্স সাইট তৈরি।
  • ডিজিটাল ভাবে নিজের ব্যবসা দাঁড় করানো।
এই সবগুলো বিষয়ই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এ শিখানো হয়। আগেই বলেছি, ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরটি অত্যন্ত বড়। এখানে যেই বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো সেগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর এক একটি ভাগ। এর যেকোনো একটিতে দক্ষ হতে পারলেই আপনি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। এর প্রত্যেকটি ভাগের মধ্যে আবার অনেক বিস্তারিত বিষয় রয়েছে।

কাজেই, আপনি কোন বিষয়টি শিখতে চান সেটি সিলেক্ট করে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করতে পারেন। আর সেই বিষয়ে দক্ষ হয়ে গেলে আপনি একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হবেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে এখন নিশ্চয়ই ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয় তা জানতে পেরেছেন। মূলত উপরে উল্লেখিত সকল বিষয়ই ডিজিটাল মার্কেটিং এ শেখানো হয়ে থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? আমরা অনেকেই আছি এই বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি এই বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করবেন। মূলত কোন পণ্য বা সেবাকে অনলাইন তথা ডিজিটাল মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে সেই পণ্য বা সেবার প্রচার এবং প্রসারকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে আখ্যায়িত করা হয়। মোটকথা, আপনার কোন ব্যবসায়িক পণ্য বা কোন সেবা অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে কাঙ্খিত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়াকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্ম হিসেবে ফেসবুককেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু ফেসবুক নয় সকল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনলাইনে মার্কেটিং করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতাভুক্ত। তাছাড়া সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও করে কোন সাইট বা কোন ব্লগ র‍্যাংকিংয়ে নিয়ে যাওয়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় পড়ে। তাছাড়া বর্তমানে ইমেইল ব্যবহার করেও অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পন্ন করে থাকে।

তবে সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যমটি হলো ফেসবুক। কারণ ফেসবুক প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে কাঙ্খিত অডিয়েন্সকে টার্গেট করা যায়। ফলে পণ্য বা সেবাটি সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছায়। যার ফলে ব্যবসার সেল অনেক বেশি হয়। মোটকথা, অনলাইন তথা সোশ্যাল মিডিয়ার যে প্ল্যাটফর্ম গুলো রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার প্রচার এবং প্রসার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত লোকজনের কাছে সেই পণ্য বা সেবাটি ক্রয়-বিক্রয় এর মাধ্যমই হল ডিজিটাল মার্কেটিং। আশা করছি বিষয়টি আপনাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে? এখন আমরা এই সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা অনেকেই আছি যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এই বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করে থাকি। ডিজিটাল মার্কেটিং যেহেতু অনেক বড় একটি সেক্টর তা আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন। কাজেই, আপনি কোন বিষয়টি শিখতে চান তার ওপর নির্ভর করবে আপনার সময়সীমা। মূলত একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করতে চাইলে মিনিমাম ১ থেকে ২ বছর কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে ৩ বছরও সময় লেগে যেতে পারে।

আপনি যদি পর্যাপ্ত সময় না দেন তবে আরও অনেক বেশি সময় লাগতে পারে। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরটি অনেক বড়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে আরও অন্যান্য বিষয়ও জড়িয়ে থাকে। আবার আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে প্রচন্ড ঘাটাঘাটি এবং পরিশ্রম করেন তবে ১ বছরের মধ্যেও ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা হয়ে যেতে পারে ইনশাল্লাহ। সেটা নির্ভর করবে আপনার পরিশ্রমের উপর। প্রথম ৩ থেকে ৬ মাস আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট হতে চান সেই বিষয়টির প্রাথমিক ধারণাগুলো নিতে পারবেন।
ডিজিটাল-মার্কেটিং-এর-গুরুত্ব
আর পরবর্তী ১ থেকে ২ বছর সময় লাগবে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করার জন্য। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে আরো বেশি সময়ও লাগতে পারে। আমার পরামর্শ থাকবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার পূর্বে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে সেক্টরগুলো উপরে আলোচনা করলাম এই বিষয়গুলোর মধ্যে কোনটা আপনার পছন্দের এবং কি করলে আপনি তাড়াতাড়ি সফল হবেন সেই বিষয়টি ঠিক করে তারপর আপনার পছন্দের বিষয়টি নিয়ে বেশি সময় ব্যয় করা।

এতে করে আপনি যেমন একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার এক্সপার্ট হবেন। পাশাপাশি সেখান থেকে প্রতিমাসে ভালো একটা এমাউন্ট জেনারেট করতে পারবেন। আর নিজের আগ্রহ এবং পছন্দের বিষয়টি শিখতে খুব একটা সময় ব্যয় করতে হবে না। আপনি যদি ২ বছর ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কোন একটি সেক্টর নিয়ে ভালোভাবে কাজ করেন তবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেই সেক্টরটিতে একদম মাস্টার লেভেলের হয়ে উঠবেন।

কাজেই, আমার পরামর্শ থাকবে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেই বিষয়টিই শিখবেন সেটি অত্যন্ত মনোযোগ এবং আগ্রহের সাথে শিখবেন। এতক্ষণের আলোচনার দ্বারা এখন নিশ্চয়ই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন সময় লাগে তা জেনেছেন। আশা করছি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এই বিষয়টি আপনাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব। আমরা অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব এই নিয়ে চিন্তায় থাকি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আলোচনার শুরুতেই বলে রাখা ভালো যে, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিভিন্ন উপায় হতে পারে। যেহেতু, ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ে উচ্চতার শিখরে পৌঁছেছে। তাই আমরা সকলেই কমবেশি ডিজিটাল মার্কেটার হতে চাই।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সবচেয়ে উপযোগী এবং কার্যকর উপায় হলো অফলাইনে অর্থাৎ সশরীরে উপস্থিত থেকে কোন স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা। এটি সবচেয়ে কার্যকরী এবং আপনার জন্য উপযুক্ত একটি উপায় ও মাধ্যম হতে পারে। তাছাড়া বর্তমান সময়ে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্সের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেই অনলাইন কোর্সগুলোতেও ভর্তি হয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। এটিও একটি উপায় হতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য।

আবার বর্তমান সময়ে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও পাওয়া যায় ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য। আপনি ইউটিউবের এই শিক্ষনীয় ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত ভিডিও গুলো দেখে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। এটিও ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার আরেকটি উপায় হবে আপনার জন্য। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার আরো একটি উপায় রয়েছে। আপনার যদি পরিচিত কেউ ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকে তবে আপনি চাইলে তার কাছ থেকেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর হাতেখড়ি নিতে পারেন।

তবে আমার পরামর্শ থাকবে আপনি স্বনামধন্য কোন আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে অফলাইনে অর্থাৎ হাতে-কলমে সরাসরি উপস্থিত থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্সটি অনেক বড় হয়ে থাকে এবং এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো প্র্যাকটিক্যালি করা উচিত। ডিজিটাল মার্কেটিং এর এমন কিছু বিষয় রয়েছে যে বিষয়গুলো অনলাইনে কিংবা ইউটিউব ভিডিও দেখে সমাধান করা সম্ভব না। সেগুলো হাতে-কলমে দেখিয়ে না দিলে আপনি কখনোই সেটা করতে পারবেন না।

তবে অনলাইনে এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন। এই অনলাইন মাধ্যমগুলোও ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়। এতক্ষণ আপনাদের সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করলাম। আশা করছি বিষয়টি বুঝেছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন

ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন? আমরা অনেকেই এই বিষয়টি জানিনা। আমাদের ছোটবেলা থেকেই এটা শেখানো হয়েছে ভালো করে পড়ালেখা করে একটি ভালো চাকরি করতে হবে। কিন্তু এটা কখনোই শেখানো হয় না যে, বড় হয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা তৈরি হতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টি মূলত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা শিল্প গ্রুপ ইত্যাদির পণ্য বা সেবা প্রচার-প্রচারণার সাথে জড়িয়ে থাকে। কাজেই, বুঝতেই পারছেন এই সেক্টর গুলোতে কত মানুষ কাজ করে থাকে।

আর ডিজিটাল মার্কেটারদের চাহিদা কত বেশি। সহজ ভাবে বলতে গেলে, বর্তমান মার্কেটপ্লেসগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা সবচাইতে বেশি এবং ডিজিটাল মার্কেটারদের চাহিদা কখনোই ফুরাবেনা। বরং আপনি যদি একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন তবে বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের মার্কেটিংয়ের জন্য আপনাকে মোটা অংকের স্যালারিতে তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবে। কারণ বিভিন্ন শিল্প গ্রুপ বা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রচার-প্রচারণায় অর্থাৎ মার্কেটিং এ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
আর তারা জানে প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতির চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এ অনেক বেশি প্রচার-প্রচারণা সম্ভব এবং তাদের পণ্য বা সেবাটি বেশি সেল করা যাবে। আর সে ক্ষেত্রে এই কাজটি করার জন্য যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়। যেহেতু শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কোম্পানি তৈরির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং এটা কখনোই কমবে না। তাহলে বুঝা যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাও কখনো কমবে না।

আর বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সম্ভাবনাময় সেক্টরটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরটি যেহেতু অনেক বড় এবং এর মার্কেটপ্লেসও বিশাল তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাও অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায় অত্যন্ত বেশি। এই যে আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই এটা কিভাবে সম্ভব হয়? এই সবগুলোই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য সম্ভব হয়েছে। আর বুঝতেই পারছেন দিন দিন অনলাইন তথা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর সকলেই এখন অনলাইন মুখী হয়ে গেছে।

কাজেই, ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাও প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা কখনোই কমবে না তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাও কখনো কমবে না। বর্তমান মার্কেটপ্লেস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোট বড় কোম্পানি, শিল্প গ্রুপ সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজন রয়েছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাও অত্যন্ত বেশি। এতক্ষণের আলোচনা থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন? এই বিষয়টি নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পারছেন। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা কেমন? এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছেন এবং সুস্পষ্ট ধারণা নিয়েছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব

ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব সম্পর্কে এখন আমাদের জানার বিষয়। আমাদের সকলেরই প্রয়োজন ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব বোঝা। উপরোক্ত আলোচনা থেকে এতক্ষণ এটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কতটা বেশি। ব্যবসায়িক বিভিন্ন পণ্য বা সেবা আপনার কাঙ্খিত ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রচলিত মার্কেটিং এর তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আপনি আপনার ব্যবসায়িক পণ্য বা সেবা যদি প্রচলিত মাধ্যমে মার্কেটিং করেন তবে আপনি যে ক্লায়েন্ট নিজের দখলে নিতে পারবেন তার চেয়ে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন তবে আপনার পণ্য বা সেবাটি দ্বিগুণেরও বেশি ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছে যাবে এবং অনেক বেশি সেল করতে পারবেন। কাজেই, সকল ব্যবসার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই ব্যবসার সেল বৃদ্ধি করা সম্ভব।

যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং সেল বৃদ্ধিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাজেই, আপনার ব্যবসাটি ছোট হোক বা বড় হোক আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করেন তবে খুব তাড়াতাড়ি আপনি সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। এটা একমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই সম্ভব। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ক্লায়েন্টদের টার্গেট করতে পারবেন যাদের সেই পণ্য বা সেবাটি প্রয়োজন।

এতে আপনার হয়রানি কম হবে এবং আপনি আপনার কাঙ্খিত অডিয়েন্স এর কাছে সেই পণ্য বা সেবাটি বিক্রি করতে পারবেন। কাজেই, এতক্ষণের আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা নিয়ে এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আমরা অনেকেই রয়েছি যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি? এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকি। তাদের উদ্দেশ্যেই আজকে আমাদের এই আলোচনা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তাহলে চলুন সংক্ষেপে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুযোগ সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • কম খরচে সকল কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কিংবা শিল্প গ্রুপ তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারে। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় সুবিধা।
  • অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত অডিয়েন্সকে টার্গেট করা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কম সময়ের মধ্যে কাঙ্খিত কাস্টমারদের কাছে পণ্য বা সেবাটি পৌঁছানো সম্ভব হয়ে থাকে। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা।
  • ঘরে বসেই ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং করা সম্ভব হয় তাই অনেক সময় বেঁচে যায়।
  • অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার এলাকা, নিজ শহর এবং দেশসহ সারা পৃথিবীব্যাপী আপনার পণ্যের প্রচার এবং প্রসার সম্ভব হয়। যেটা অন্যান্য মার্কেটিং এ কখনোই সম্ভব না। এটিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা।
  • অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে তুলনামূলক হয়রানি কম হয় এবং খরচও অত্যন্ত কম। এতে আপনার ব্যবসার পুঁজি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এটিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি সুবিধা।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে যতটা পরিচিতি তথা ব্র্যান্ডিং সম্ভব হয় সেটা কখনোই প্রচলিত মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সম্ভব নয়।
  • একমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই নির্ভরযোগ্য ফলাফল আশা করা যায়। এটিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক বড় সুবিধা।
  • কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থাও অত্যন্ত দৃঢ় হয় এবং সুসম্পর্ক বজায় থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। এটিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি সুবিধা।
উপরোক্ত যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম এগুলো হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা। এখন নিশ্চয়ই বিষয়টি ভালোমতো জানতে পেরেছেন।

লেখকের মন্তব্য বা শেষ কথা | ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন - ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি

পরিশেষে, আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে এখন নিশ্চয়ই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কেমন আয় হয় এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন? তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক উপকার হয়েছে। এই আর্টিকেলে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে সকল বিষয়গুলো সুন্দরভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোথাও কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তবে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে জানাবেন।

আমি চেষ্টা করব আপনার সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য। এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করবেন। কারণ তাদেরও এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকল্প নেই, তাই সকলেরই বিষয়টি জানতে হবে। আর এরকম নিত্য নতুন সব আপডেট খবর সবার আগে পাওয়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ করছি।

এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়তই আপডেট এবং পরীক্ষিত খবরাখবর প্রকাশ করা হয়। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘোষনা করছি। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করছি। পাশাপাশি আপনারাও আমার জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করবেন তিনি যেন আমাকে আমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

M.F. Hossain ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url