১৫টি নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ - নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত আপডেট তথ্য

নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনাদের জানার আগ্রহ হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা এই সম্পর্কে জানতে পারবেন। সাথে সাথে নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এই বিষয় সহ নাটোরের বিখ্যাত খাবার এবং নাটোর জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
নাটোর-কিসের-জন্য-বিখ্যাত
কাজেই, আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে নাটোর জেলার সকল তথ্য আপনারা জানবেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। চলুন আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ

নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ

নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ কোনগুলো এই নিয়ে আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা নাটোরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। নাটোরের অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। নাটোরের দর্শনীয় স্থানসমূহের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে নাটোরের গ্রীন ভ্যালি পার্ক। বর্তমান সময়ে নাটোরের এই গ্রীন ভ্যালি পার্ক পর্যটকদের একটি কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নাটোরের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে গ্রীন ভ্যালি পার্ক অন্যতম। আবার নাটোরের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আরেকটি হলো নাটোর রাজবাড়ী। বহু দিনের প্রাচীন সেই রাজবাড়ী এখনো নাটোরের ঐতিহ্যকে ধারণ করে রেখেছে। নাটোরের রাজবাড়িও নাটোরের অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। আবার নাটোরের আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল চলন বিল। চলন বিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল। যা নাটোর জেলাতেই অবস্থিত এবং নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে একটি। আবার রয়েছে নাটোরে চলন বিল জাদুঘর।
চলন বিল জাদুঘরও নাটোরের আরেকটি দর্শনীয় স্থান। আবার নাটোরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে রানী ভবানী রাজবাড়ী। রানী ভবানীর এই রাজবাড়ীটিও নাটোরের বিখ্যাত স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও রয়েছে দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী যা নাটোরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে একটি। আবার নাটোরের আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল হালতি বিল। এটিও নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং জনপ্রিয় স্থান। নাটোরের আরেকটি ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান রয়েছে একটি মসজিদ। যে মসজিদটি হল চাপিলা শাহী মসজিদ।

এটিও নাটোরের আরেকটি দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে রয়েছে। আবার নাটোর জেলার আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল বুধপাড়া কালীমন্দির। নাটোর জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে এটিও পড়ে। আবার রয়েছে নাটোরের আরেকটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান শহীদ সাগর। অনেকে নাটোর জেলা ভ্রমণে গিয়ে এই দর্শনীয় স্থানটিও দেখে আসে। আবার নাটোরের আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল গোসাই আখড়া। এছাড়াও দয়ারামপুর জমিদার বাড়িও নাটোর জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান। এছাড়াও রয়েছে মোল্লা জমিদার বাড়ি এবং মির্জা মহল ইত্যাদি।

আবার নাটোর জেলার আরেকটি অন্যতম দর্শনীয় এবং জনপ্রিয় স্থান হল পাটুল হাপানিয়া মিনি বিচ। এই বিচে অনেক পর্যটক এসে বিচের সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকেন। এতক্ষণ আপনাদের সাথে যে স্থানগুলোর নাম নিয়ে আলোচনা করলাম সেগুলো সবগুলোই হলো নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত

নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এখন আমরা এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমরা ইতিমধ্যেই নাটোরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। এখন আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। নাটোর জেলা বাংলাদেশে বিখ্যাত হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো এর আয়তন। নাটোর জেলা আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের ৩৫ তম জেলা। কাজেই, এই বড় আয়তনটি নাটোর জেলাকে বিখ্যাত করে তুলেছে।

আবার নাটোর জেলা বিখ্যাত হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এই জেলাতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নাটোর জেলাতে অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তি ছিলেন যার জন্য নাটোর জেলা বিখ্যাত হয়েছে। আবার নাটোর জেলা বিখ্যাত হওয়ার জন্য আরেকটি কারণ রয়েছে সেটি হল নাটোরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। নাটোর জেলায় রয়েছে সুপ্রাচীনকালের বিভিন্ন রকমের স্থাপনা যা নাটোর জেলাকে বিখ্যাত করে তুলেছে। এছাড়াও নাটোর জেলাতে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল চলন বিল।
নাটোর-জেলার-বিখ্যাত-মুক্তিযোদ্ধার-নাম
যা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই চলন বিলটি থাকার জন্য নাটোর জেলা অত্যন্ত বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। তাছাড়া নাটোরের খাবারগুলোর জন্যও নাটোর জেলা বিখ্যাত হয়েছে। আপনি নাটোর জেলাতে পাবেন কাঁচা গোল্লা। যেটা বাংলাদেশের আর কোথাও পাওয়া যায় না। এত ইউনিক খাবার থাকার জন্য নাটোর জেলা বিখ্যাত হয়েছে। তাছাড়া নাটোর জেলাতে রয়েছে সুগার মিল তথা চিনিকল। এই চিনিকলের জন্যও নাটোর জেলা বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত জেলাতে পরিণত হয়েছে।

আবার নাটোর জেলাতে বিনোদনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন পার্ক এবং মনমুগ্ধকর দৃশ্য। যেটা নাটোর জেলাকে অন্যান্য জেলা থেকে আলাদা করে। এই সবগুলো জিনিস থাকার জন্য নাটোর জেলা বিখ্যাত একটি জেলা। এতক্ষণ আপনাদের সাথে নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

নাটোরের বিখ্যাত খাবার

নাটোরের বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকি। এখন আমাদের আলোচনার বিষয় হলো নাটোর জেলার বিভিন্ন বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে। যারা নাটোর জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যেই আজকে আমাদের এই আলোচনা। তাহলে চলুন আর দেরি না করে নাটোরের ঐতিহ্যবাহী এবং বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক। আমরা সকলেই জানি, নাটোরের বিখ্যাত খাবার এর মধ্যে রয়েছে নাটোরের কাঁচা গোল্লা।

যেটা নাটোরের ঐতিহ্যবাহী এবং বিখ্যাত একটি খাবার। শুধু বাংলাদেশেই নয় নাটোরের কাঁচা গোল্লার খ্যাতি রয়েছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। সারা বিশ্বব্যাপী রয়েছে নাটোরের সেই কাঁচা গোল্লার সুনাম। শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাটোর জেলাতেই এই কাঁচা গোল্লা পাওয়া যায় এবং নাটোরের বিখ্যাত একটি খাবার হল নাটোরের এই কাঁচাগোল্লা। আবার নাটোরের আরেকটি বিখ্যাত খাবার হল অবাক সন্দেশ। এটিও নাটোরের বিখ্যাত খাবার গুলোর মধ্যে একটি। খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মুখরোচক।
অবাক সন্দেশও একটি মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার। যেটা শুধু নাটোর জেলাতেই পাওয়া যায়। আর এটি নাটোর জেলার বিখ্যাত খাবার গুলোর মধ্যে একটি। আবার নাটোরের আরেকটি বিখ্যাত খাবার হল রাঘব শাহী। রাঘব শাহীও অত্যন্ত মজাদার এবং সুস্বাদু। এটিও মিষ্টান্ন জাতীয় একটি খাবার। যেটা নাটোর জেলার অত্যন্ত বিখ্যাত খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম। কখনো নাটোর জেলায় আসলে এই খাবারগুলো কখনোই মিস করবেন না। এগুলো হলো নাটোরের বিখ্যাত খাবার।

আবার নাটোর জেলার অন্যতম আরেকটি বিখ্যাত খাবার হলো প্রাণহারা মিষ্টি এবং বনলতা পান। এগুলো নাটোর জেলাতে অত্যন্ত বিখ্যাত। আবার কাঁকড় মুরগির তরকারিরও যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে নাটোর জেলাতে। এখানে যেই খাবার গুলোর নাম উল্লেখ করা হলো তার সবগুলোই নাটোরের বিখ্যাত খাবার। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা নাটোরের বিভিন্ন বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

নাটোরের বিখ্যাত ব্যক্তি

নাটোরের বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা নাটোরের বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকে। তারা আজকের এই আলোচনাটি পড়লে নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের এই আলোচনা শুরু করা যাক। নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি গুলো নিম্নরূপঃ

মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায়ঃ মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায় নাটোর জেলার একজন বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি নাটোরের হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন নাটোরের একজন অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তি।

মহারানী ভবানীঃ নাটোরের আরেকজন বিখ্যাত ব্যক্তি হলেন মহারানী ভবানী। মহারানী ভবানী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে কাজ করেছেন এবং শিক্ষা বিস্তারে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি যে টাকা পয়সা দান করতেন তা দিয়ে বহু টোল পরিচালনা করা হতো। তাই তিনি নাটোরের বিখ্যাত ব্যক্তি।

এয়ার ভাইস মার্শাল খাদেমুল বাসারঃ খাদেমুল বাসার নাটোরের একজন অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৭৬ সালের মে মাসে মূলত তিনি বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বীর উত্তম পদকে ভূষিত হন। তিনিও নাটোরের অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তি গুলোর মধ্যে একজন।

আশরাফুল ইসলামঃ আশরাফুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ও নাটোর জেলার অন্যতম বিশেষ ব্যক্তিত্ব।

মাদার বখশঃ মাদার বখশ নাটোর জেলার আরেকজন বিখ্যাত ব্যক্তি। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্রষ্টা ছিলেন। তাই তিনি নাটোরের বিখ্যাত ব্যক্তি হতে পেরেছেন।

জুনায়েদ আহমেদ পলকঃ জুনায়েদ আহমেদ পলক নাটোর জেলার একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং বিখ্যাত ব্যক্তি। রাজনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি নাটোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি হতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আপনাদের সাথে যে ব্যক্তিগুলোকে নিয়ে আলোচনা করলাম তারা সবাই হলো নাটোরের বিখ্যাত ব্যক্তি। আশা করছি এই আর্টিকেল থেকে আপনি নাটোর জেলার বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

নাটোর জেলার নামকরণের ইতিহাস

নাটোর জেলার নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে এখন আমাদের বিস্তারিত আলোচনার বিষয়। আমাদের মাঝে অনেকে রয়েছে যারা নাটোর জেলার নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে জানেনা। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা নাটোর জেলার কিভাবে নামকরণ করা হয়েছে তার ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের এই আলোচনাটি শুরু করি। নাটোর জেলার নামকরণ করা হয়েছে মূলত একটি নদীর নামে।
নাটোরের-বিখ্যাত-ব্যক্তি
নাটোর নামটি এসেছে নারদ শব্দ থেকে। নারদ শব্দটি মূলত একটি নদী যা নাটোর জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত। নাটোর জেলাটি মূলত একটি বিল ছিল স্থানীয় ভাষায় একে ছাই ভাঙ্গা নামে ডাকা হত। ১৭০৬ সালের দিকে রাজা রামজীবন রায় এই বিলটিকে ভরাট করে সেখানে রাজধানী স্থাপন করেছিলেন। নারদ এই নদীটির নাম করা হয়েছিল মূলত নরোত্তম নামে এক পৌরাণিক ঋষির নামে। তারপর কালক্রমে নাটোর জেলাটি নামকরণ করা হয় এই নারদ নামক নদীটি থেকেই।

এভাবেই মূলত নাটোর জেলার নামকরণ করা হয়েছে। নাটোর জেলার নামকরণ নিয়ে বহু রকম প্রশ্ন থাকলেও বিভিন্ন ইতিহাস ঘাটাঘাটি করে জানা গেছে মূলত নারদ নামক নদীর নাম অনুসারে নাটোর জেলার নামকরণ করা হয়েছে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে নাটোর জেলার নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা নাটোর জেলার নামকরণের ইতিহাস এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

নাটোর জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম

নাটোর জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম সম্পর্কে এখন আমার বিস্তারিত জানবো। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা নাটোর জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনাটি শুরু করা যাক। নাটোর জেলার বিখ্যাত একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম হল এস এম সেকান্দার আলী। তিনি নাটোর জেলার অন্যতম একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

তিনি সরকুতিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আবার নাটোর জেলার আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা হলেন মোঃ নাজমুল করিম। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ছাতার ভাগ নামক গ্রামে। তিনিও নাটোর জেলার একজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আবার নাটোর জেলার আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা হলেন মোঃ লুৎফুর রহমান। তিনি জন্মগ্রহণ করেন আবদানপুর নামক গ্রামে। আবার নাটোর জেলার আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা হলেন মোঃ ওসমান আলী। তিনি হলুদ ঘর নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন।
তিনিও নাটোর জেলার একজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এছাড়াও নাটোর জেলার আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা হলেন মোঃ আলাউদ্দিন সরদার। তিনি সরকুতিয়া নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আবার নাটোর জেলার আরেকজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা হলেন আবু সিদ্দিকী। তিনি ব্রহ্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আবার নাটোর জেলার আরেকজন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা হলেন মোঃ আখতার হোসেন। তিনি ভট্ট পাড়া গ্রামের জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

এখানে যে ব্যক্তিগুলোর নাম করা হলো তারা সকলেই নাটোর জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এতক্ষণ আপনাদের সাথে নাটোর জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

নাটোর জেলার থানার নাম

নাটোর জেলার থানার নাম সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জানবো। আমরা অনেকেই রয়েছি যারা এই বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে থাকি। তাদের উদ্দেশ্যেই আজকে আমাদের এই আলোচনা। তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে নাটোর জেলার বিভিন্ন থানা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। নাটোর জেলার বিভিন্ন থানার নাম নিম্নরূপঃ
  • নাটোর সদর থানা
  • গুরুদাসপুর থানা
  • সিংড়া থানা
  • নলডাঙ্গা থানা
  • লালপুর থানা
  • বড়াইগ্রাম থানা
  • বাগাতিপাড়া থানা
এখানে যে থানাগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো আর সবগুলোই হলো নাটোর জেলার থানার নাম। আশা করছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা নাটোর জেলার থানার নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

নাটোর জেলার ইতিহাস

নাটোর জেলার ইতিহাস সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা নাটোর জেলার ইতিহাস কি এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানেনা। নাটোর জেলার বিভিন্ন ইতিহাস রয়েছে। যে বিষয়গুলো আমাদের জানা একান্ত জরুরী। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে নাটোর জেলার ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক। 

১৭৬৯ সাল থেকে ১৮২৫ সাল পর্যন্ত মূলত নাটোর রাজশাহী জেলার সদর দপ্তর হিসেবে পরিগণিত হত। প্রতিস্থাপনের সময় নাটোরকে মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এজন্যই নাটোর জেলাকে বাংলাদেশের প্রথম মহাকুমা হিসেবে ডাকা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৪ সালে নাটোরকে একটি আলাদা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এভাবেই মূলত গড়ে উঠেছে নাটোর জেলা। পরবর্তীতে কাল ক্রমে নাটোর জেলায় বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ জন্মগ্রহণ করেন।

এর পাশাপাশি তারা নাটোর জেলাকে আলাদা একটি জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হোন। এভাবেই কালের বিবর্তনে নাটোর আলাদা একটি জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এতক্ষণ আপনাদের সাথে নাটোর জেলার ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা করছি এই আর্টিকেল থেকে আপনারা নাটোর জেলার বিভিন্ন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়েছেন।

নাটোর জেলা নিয়ে এক কথায় কিছু উত্তর (FAQ)

নাটোরের বিখ্যাত খাবার হোটেলঃ নাটোরের বিখ্যাত খাবার হোটেল হল পচুর হোটেল। এই হোটেলে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ মানের এবং উন্নত খাবার পাওয়া যায়। আবার নাটোরের আরেকটি খাবার হোটেল হল নয়ন হোটেল। এটিও নাটোরের আরেকটি বিখ্যাত হোটেল।

নাটোরের কাঁচাগোল্লা কোথায় পাওয়া যায়ঃ নাটোরের কাঁচাগোল্লা কোথায় পাওয়া যায় এখন আমরা তা জানবো। নাটোরের কাঁচাগোল্লা মূলত পাওয়া যায় লাল বাজারের মধুসূদন পালের দোকানে। আবার নাটোরের কাঁচা গোল্লার জন্য বিখ্যাত একটি হোটেল হল মৌচাক মিষ্টি ভান্ডার। নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা মৌচাক মিষ্টি ভান্ডারে পাওয়া যায়।

তাছাড়া কালিবাড়ির মিষ্টির দোকানের কাঁচা গোল্লারও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এখানেও নাটোরের কাঁচা গোল্লা পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি অনুকুল দধী এবং সকাল সন্ধ্যা দোকানে মিলবে নাটোরের সেই বিখ্যাত কাঁচা গোল্লার সন্ধান। এই বিখ্যাত হোটেল গুলোতে নাটোরের সেই ঐতিহ্যবাহী কাঁচাগোল্লা পাওয়া যায়।

নাটোরের কাঁচাগোল্লা জিআইঃ নাটোরের কাঁচাগোল্লা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের ১৭ তম ভৌগোলিক নির্দেশক অধিবেশনে। ৩০০ বছরের পুরনো সেই বিখ্যাত নাটোরের কাঁচাগোল্লা এখন জিআই পণ্য।

নাটোরের পূর্ব নাম কিঃ নাটোরের পূর্ব নাম কি? এখন আমরা তা জানবো। নাটোরকে আগে মূলত লস্করপুর পরগনা নামে ডাকা হতো। কাজেই, বলা যেতেই পারে যে নাটোরে পূর্ব নাম ছিল লস্করপুর পরগনা।

মুক্তিযুদ্ধে নাটোরের ইতিহাসঃ মুক্তিযুদ্ধে নাটোরের ইতিহাস সম্পর্কে এখন জানতে হবে। প্রত্যেকটা জেলার মতো নাটোর জেলাও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নাটোর জেলা ৭ নং সেক্টরের অধীনে ছিল। নাটোর জেলা থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিগণ যুদ্ধ করে বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। দেশকে স্বাধীন করার জন্য নাটোর জেলার অবদান অনেক বেশি ছিল। আশা করছি মুক্তিযুদ্ধে নাটোরের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন।

শেষ কথা | নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত

পরিশেষে, আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে এখন নিশ্চয় আপনি নাটোরের দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি নাটোর কিসের জন্য বিখ্যাত এই বিষয়টি সম্পর্কেও সুস্পষ্টভাবে লাভ করতে পেরেছেন। মোটকথা, নাটোর জেলা সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে। আমি আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। এতসব আলোচনার মাঝে যদি কোন বিষয় বুঝতে আপনার অসুবিধা মনে হয় থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে জানাবেন।

আমি চেষ্টা করব আপনার সকল সমস্যার সমাধান করার জন্য। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি এতটুকুও উপকার মনে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। তাদেরও নাটোর জেলার এই দর্শনীয় স্থান এবং নাটোর জেলার বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। এই আর্টিকেলটি আপনি আপনার পরিচিত সকল বন্ধু-বান্ধবকে শেয়ার করলে তারাও নাটোর জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সক্ষম হবে।

আমি সবসময় চেষ্টা করি সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে আপনাদের পাশে থাকার জন্য। এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়তই এরকম পরীক্ষিত এবং আপডেট খবর প্রকাশ করা হয়ে থাকে। তাহলে এরকম নিত্যনতুন সব আপডেট খবর সবার আগে পাওয়ার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইল। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘোষনা করছি। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে।

ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করছি। পাশাপাশি আপনারা মহান আল্লাহর নিকট আমার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

M.F. Hossain ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url