আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ৩টি বিশেষ ব্যবহার - আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার সম্পর্কে আপনি জানেন কি? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে? এ বিষয়গুলো নিয়ে জানবো আজকের এই আর্টিকেলে। একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ এবং টেক দুনিয়ার আপডেট খবর যারা রাখে তাদের অবশ্যই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি? (What is Artificial intelligence?) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার (Use of Artificial intelligence) সম্পর্কে জানা দরকার। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি? এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার সম্পর্কে।
আর্টিফিশিয়াল-ইন্টেলিজেন্স-কি
সাথে সাথে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর আরও বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার সহ আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে এ আর্টিকেলটি আপনাকে পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তো আমি আশা করব একজন প্রিয় পাঠক হিসেবে আপনি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা লাভ করবেন।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি - আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার 

ভূমিকা | আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি - আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার 

আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি? (what is Artificial intelligence) বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার (Use of Artificial intelligence) সম্পর্কে। পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উদাহরণ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার সহ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর আরো যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। 

একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হিসেবে আপনাকে এই বিষয়গুলো অবশ্যই জানা থাকা দরকার। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে বিস্তর একটা ধারণা লাভ করতে হলে আপনাকে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আশা করা যায় যে আপনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটা ধারণা পাবেন। তো চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেল তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি (Artificial intelligence ki) বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার (Artificial intelligence er babohar)।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি (what is Artificial intelligence)

মানুষের পরিকল্পিত চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রের সাহায্যে বাস্তবায়িত করার মাধ্যমই হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। সাধারণভাবে, মানুষের চিন্তাধারাকে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে প্রকাশ করার পদ্ধতি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স(এআই)। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে মানুষের চিন্তা চেতনাকে কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করার বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক কে

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক “জন ম্যাকার্থি” । তিনি ছিলেন একজন আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার। তিনি ৪ ই সেপ্টেম্বর ,১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রোগ্রামিং ভাষা লিস্পেরও জনক ছিলেন। তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নামক শব্দটি চালু করেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ১৯৪৪ সালে ভর্তি হন। শিক্ষা কার্যক্রমে শারীরিকভাবে অংশ না নেয়ায় তাকে ইউনিভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং পরবর্তীতে তিনি আবার ভর্তি হন। 

পরবর্তীতে তিনি গণিতে ব্যাচেলর অব সাইন্স (BSC) ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৪৮ সালে। অতঃপর তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৫১ সালে। কর্মজীবনে তিনি বহু ইউনিভার্সিটির সাথে যুক্ত ছিলেন। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়,  স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)  এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। অবসরের পূর্বে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। পরবর্তীতে ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ সালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে(How Artificial intelligence works) | আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উদাহরণ 

এখন এই প্যারাগ্রাফে আমি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে এই বিষয়টি নিয়ে আপনাদের ধারণা দেবো। উপরের প্যারাগ্রাফে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি এবং এর জনক কে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। তো চলুন শুরু করি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিভাবে কাজ করে (Artificial intelligence kivabe kaj kore)। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে একটি অ্যালগরিদম সিস্টেম। বিষয়টি বুঝানোর জন্য চলুন একটি উদাহরণ দেই।
এই যে আমরা গুগলে বিভিন্ন বিষয় লিখে সার্চ দিই এবং কাঙ্খিত ফলাফল গুগল আপনার সামনে উপস্থাপন করে। আপনি যে বিষয়ে সার্চ দিয়েছেন সেই বিষয়ে একাধিক তথ্য গুগল আপনার সামনে নিয়ে আসে। এটা একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বড় উদাহরণ। গুগলের অ্যালগরিদম সিস্টেমে আপনার সার্চকৃত তথ্য প্রসেস হয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আপনার কাছে প্রদর্শন করছে।গুগলের অ্যালগরিদম সিস্টেমে এভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে তাই আপনি আপনার কাঙ্খিত ফলাফলটি দেখতে পাচ্ছেন।

শুধু গুগল নয় যত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে তার মধ্যে কিছু অন্যতম হচ্ছে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি মাধ্যমগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফল ব্যবহার দেখিয়েছে।আরো একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আরেকটু ক্লিয়ার করার চেষ্টা করি। এই যে আমরা দেখি ড্রাইভার বিহীন গাড়ি চলছে এটা কিভাবে সম্ভব হয়? এটাও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। গাড়ির উপরে থ্রি সিক্সটি (360) ডিগ্রি ক্যামেরা থাকে এবং অনেকগুলো সেন্সর লাগানো থাকে সেন্সর গুলো লোকেশন ট্র্যাক করে গাড়িকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে। 

এটাও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।তাছাড়া বিভিন্ন স্মার্টফোনের কথাই চিন্তা করুন। কতসব ফিচার দিয়ে তৈরি করা হয় স্মার্টফোনগুলো। মানুষ শুধু নির্দেশনা দিয়ে দেয় এবং এলগরিদম সিস্টেম তাদের কাঙ্খিত কাজগুলো করে থাকে। এসবগুলো কাজ করা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে। কাজেই, বোঝাই যাচ্ছে আপনি শুধু একটা বিষয়ে সার্চ কিংবা নির্দেশনা দিলেই এটা আপনার সামনে চলে আসে এই কাজগুলো করা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে। 

সিরি (SIRI) হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। তাছাড়া যে আমরা ভয়েস টাইপিং এর মাধ্যমে লেখালেখি করি, এটা কিভাবে সম্ভব হয় ? আপনি একটা কথা বলছেন অথচ সেটা লেখা আকারে দেখাচ্ছে এবং সেটা কারো কাছে পাঠাতেও পারছেন এই সবগুলোই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটা বড় উদাহরণ। আবার আমরা ইলন মাস্কের টেসলা এই বিখ্যাত কোম্পানিটির নাম শুনেছি। ইলেকট্রিক কার তৈরির জন্য কোম্পানিটি বিখ্যাত। 

এই শিল্পেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করা হয়েছে ।আশা করি বিষয়গুলো ভালো মত বুঝতে পেরেছেন।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Artificial intelligence)

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধাঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বৈশিষ্ট্য নিয়ে এই প্যারাগ্রাফে আলোচনা করা হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধার কথা বললে প্রথমে যে কথাটি বলতে হবে সেটি হচ্ছে জিপিএস (GPS) বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম এর কথা। জিপিএস এই সেবাটি ব্যবহার করে আমরা অচেনা এক জায়গায় একই স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারি এতে রাস্তার পাশের কোন সাইনবোর্ডের প্রয়োজন হবে না। 

তাছাড়া মানুষকে জিজ্ঞাসা করারও প্রয়োজন পড়বে না জায়গাটা কোন দিকে? জিপিএস সিস্টেম একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উদাহরণ বলা যেতে পারে। এতে মানুষের ভোগান্তিও কম হবে। মানুষ একটি সিদ্ধান্ত নিতে যেখানে অনেকবার ভাবনা চিন্তা করবে সেক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স খুব তাড়াতাড়ি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এতে করে সময়ও বাঁচে এবং সিদ্ধান্তটিও সঠিক হয়। এটা একটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভালো সুবিধা।
তাছাড়া কোন মানুষকে কাজ করতে দিলে কিছুক্ষণ কাজ করার পরে সে অবশ্যই ক্লান্ত এবং অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বে কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সপ্তাহে ৭ দিন এবং দিনে ২৪ ঘন্টা সব সময় কাজ করতে পারে। এতে করে অনেক সুবিধা হয়। মানুষকে দিয়ে কাজ করালে যেখানে বেতন প্রদান করতে হতো সেক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) থাকলে তাকে এক্সট্রা কোন টাকা দিতে হচ্ছে না। এতে টাকার সাশ্রয় হচ্ছে। যেখানে মানুষ হলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। 

তাছাড়া একটা কথা মানুষ কিছুদিন পরে ভুলে যেতে পারে কিন্তু এ আই তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্দেশনা অনুযায়ী অনেকদিন মনে রাখতে পারে। তাছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বুঝার সুবিধার জন্য নিচে লিস্ট আকারে দেওয়া হলঃ
  • জিপিএস সুবিধা
  • তাড়াতাড়ি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধা
  • সব সময় কাজের সুবিধা
  • টাকা সাশ্রয়ের সুবিধা
  • মনে রাখার সুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধাঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধার মধ্যে প্রথমেই যে বিষয়টি আসে সেটি হচ্ছে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। তার কারণ হলো মানুষ যখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করবে তখন কর্মীর ব্যবহার ধীরে ধীরে কমে যাবে। ফলে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে মানুষের সৃজনশীলতা হ্রাস পেতে থাকবে। নতুন কিছু কল্পনা করতে ব্যর্থ হবে। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যেহেতু একটি রোবোটিক সিস্টেম কাজেই সঠিক এবং ভুল তথ্য বুঝতে পারে না। তাকে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া থাকে সে সেভাবেই কাজ করে। এটি এর অসুবিধার মধ্যে অন্যতম। যেহেতু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছে তাই এর অসুবিধা খুবই সীমিত। তবে এক সময় এটা মানবজাতির জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে। সংক্ষেপে অসুবিধা গুলো হলোঃ
  • চাকরি হারিয়ে যাবে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে
  • মানুষের কল্পনা শক্তি কমে সৃজনশীলতা হ্রাস পাবে
  • যেহেতু এটি একটি সিস্টেম তাই সঠিক এবং ভুল তথ্য নির্ধারণে ব্যর্থ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য (Features of Artificial intelligence)

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিচে এগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হলোঃ
  • কোন বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিতে পারে
  • সমস্যা নির্ধারিত করে তার সমাধানের উপায় বের করতে পারে
  • নতুন জ্ঞান অর্জন করে তা প্রয়োগের ক্ষমতা রাখে
  • বিভিন্ন ভাষা বুঝতে পারে
  • কোন কিছুর জটিল অবস্থা নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে
  • জটিল কোন বিষয় সহজভাবে সমাধান করতে পারে
এছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরো বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো এখানে উল্লেখ করলাম।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার (Use of Artificial intelligence)

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। নিচে এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

কৃষি ক্ষেত্রেঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বহুবিধ ব্যবহারের মধ্যে প্রথমেই যে বিষয়টি উল্লেখ করা যায় সেটি হচ্ছে কৃষি ক্ষেত্র। আমাদের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে কৃষি। এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার নেই। কাজেই কৃষি ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করতে পারলে উন্নতি খুব শীঘ্রই ধরা দেবে। 

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বহু গুনে বেড়ে গিয়েছে, যা একটি দেশের উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কাজেই আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের বিকল্প নেই।

চিকিৎসা ক্ষেত্রেঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর ব্যবহার (use of Artificial intelligence) এই পোস্টে এবারে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে সেটা হচ্ছে চিকিৎসা ক্ষেত্র। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। চিকিৎসার যে এত উন্নতি সাধন হয়েছে তার পেছনে রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অনেক অবদান। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার শুরু হয়েছে ইমেজিং, এক্সরে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ইলেক্ট্রো কার্ডিওগ্রাম ইত্যাদি বিষয়গুলোতে। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে একজন চিকিৎসক ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ সৃষ্টি করে দেহের ভিতরে কি হয়েছে না হয়েছে সবকিছুই দেখতে পারছেন মনিটরে। এটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটা বড় সাফল্য।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের ফলে চিকিৎসা বিদ্যা এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। অনেক কঠিন কঠিন বিষয় গুলো এখন সমাধান করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে। রোগীর দেহে অস্ত্রপচার করার সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পূর্ণ রোবট ব্যবহার করে ডাক্তার সহজেই চিকিৎসা দিতে পারছেন। তাছাড়া এক্সরে প্রযুক্তিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে রোগীর হাড়ের অবস্থান এবং কোথায় ফাটল ধরেছে কি চিকিৎসা দিতে হবে এগুলো সব কিছু নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে। 

যেটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আবিষ্কারের পূর্বে অনেক কষ্টসাধ্য ছিল। কাজেই, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো সহজ করে দিয়েছে। আশা করি চিকিৎসা ক্ষেত্রে এর ব্যবহার আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ চিকিৎসা ক্ষেত্রের পরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার (use of Artificial intelligence)রয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। শিক্ষা ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। একজন শিক্ষার্থী লেখাপড়ার কোন বিষয় সম্পর্কে সমস্যায় পড়লে যদি সেই সংক্রান্ত সমস্যা গুগলে সার্চ করে তাহলে তার একটি সমাধান পেয়ে যায় এটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে কাজ করে। ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভূমিকা অপরিসীম।

শিক্ষা ব্যবস্থায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার ফলে এটি গৃহ শিক্ষকের মত কাজ করছে। ফলে একজন শিক্ষার্থী সহজেই তার সমস্যার সমাধান করতে পারছে। যেটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আবিষ্কারের পূর্বে সম্ভব ছিল না। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিক্ষা ব্যবস্থা একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার (use of Artificial intelligence in Education) শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

সেটা নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থী এটাকে কিভাবে ব্যবহার করবে তার উপর। সে যদি ভালো কাজে ব্যবহার করে তবে ভালো ফলাফল পাবেন এবং খারাপ কাজে ব্যবহার করলে তার ফলাফলও খারাপ হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে হলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বিকল্প কোন পথ নেই। কারণ দিন দিন সব উন্নত এবং ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। কাজেই শিক্ষা ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার করা অতীব জরুরী। যা শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন একটা মাত্রা যোগ করবে। 

ইতিমধ্যে উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) যুক্ত হয়েছে। যার ফলে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও অনেক উন্নত। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার করা খুবই জরুরী।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি - আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার

আজকের এই পোস্টে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি (Artificial intelligence ki) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার (Artificial intelligence er babohar) ,কিভাবে কাজ করে, সুবিধা অসুবিধা, বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি বিষয়গুলো আপনারা ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন বিষয়গুলো খুব সহজ এবং সাবলীল ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছি। 

এরপরও যদি আপনার কোন বিষয়ে সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কমেন্টে জানাতে পারেন। আমি যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার এতটুকুও উপকারে আসে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। তাদের কেউ বিষয়টি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন আপনার একটি শেয়ারের মাধ্যমে। পাশাপাশি সকল বিষয়ে নিত্য নতুন আপডেট সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটির (M.F. Hossain) সাথেই থাকুন। 

আমি চেষ্টা করি সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদের উপকারে আসার জন্য। তো আর কথা না বাড়িয়ে আজকের এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। সকলেই ভালো থাকবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

M.F. Hossain ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url