বায়োইনফরমেটিক্স এর ১৩টি ব্যবহার - বায়োইনফরমেটিক্স এর ৯টি সুবিধা ও ৬টি অসুবিধা

আজকের এই আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বায়োইনফরমেটিক্স কি? (What is Bioinformatics?) বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার (Use of Bioinformatics) ও বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Bioinformatics) । পাশাপাশি বায়োইনফরমেটিক্স এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। বায়োইনফরমেটিক্স কি? বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার ও বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। বায়োইনফরমেটিক্স কি? বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বায়োইনফরমেটিক্স-এর-ব্যবহার
বায়োইনফরমেটিক্স বিষয়টি দিনদিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই আর্টিকেলটি পড়লে আশা করা যায় আপনি বায়োইনফরমেটিক্স সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করবেন। তো চলুন শুরু করা যাক বায়োইনফরমেটিক্স বিষয়ে আজকের আর্টিকেল।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বায়োইনফরমেটিক্স কি - বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার - বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা

ভূমিকা | বায়োইনফরমেটিক্স কি - বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার - বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা

বায়োইনফরমেটিক্স কে আমরা অনেক সময় বায়োমেট্রিক্স এই প্রযুক্তির সাথে গুলিয়ে ফেলি। দুটো কিন্তু মোটেও এক জিনিস নয়। আজকের এই লেখনীর মাধ্যমে আমি আপনাদের বায়োইনফরমেটিক্স কি? (What is Bioinformatics?) বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার (Use of Bioinformatics), বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Bioinformatics) সহ বায়োইনফরমেটিক্স পদ্ধতি কি? বায়োইনফরমেটিক্স কাকে বলে? বায়োইনফরমেটিক্স এর জনক কে?বায়োইনফরমেটিক্স এর উদ্দেশ্য কি? বায়োইনফরমেটিক্স এর বৈশিষ্ট্য, বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রয়োগ, বায়োইনফরমেটিক্স এর কাজ সহ বায়োইনফরমেটিক্স এর আরো আরও যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
বায়োইনফরমেটিক্স বিষয়টি বুঝতে হলে এ সকল বিষয়ে আপনার জানা থাকা দরকার। তাই আজকের এই আর্টিকেলে বায়োইনফরমেটিক্স এর যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করব। বায়োইনফরমেটিক্স বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি মনোযোগের সাথে পড়তে হবে। তো চলুন জেনে নিই বায়োইনফরমেটিক্স আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো সম্পর্কে। আমি আশা করব একজন প্রিয় পাঠক হিসেবে আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

বায়োইনফরমেটিক্স কি (What is Bioinformatics?) | বায়োইনফরমেটিক্স পদ্ধতি কি | বায়োইনফরমেটিক্স কাকে বলে

এখন আমাদের জানার বিষয় হচ্ছে বায়োইনফরমেটিক্স কি (Bioinformatics ki)? বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার (Use of Bioinformatics) এবং বায়ো ইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Bioinformatics) পর্যায়ক্রমে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে। বায়োইনফরমেটিক্স দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। একটি হচ্ছে Bio. যার অর্থ হচ্ছে জৈব এবং আরেকটি হচ্ছে Informatics. যার অর্থ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। মোটকথা, বায়োইনফরমেটিক্স এর বাংলা করলে অর্থ হয় জৈব তথ্য প্রযুক্তি।

জীববিজ্ঞান থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যে জেনেটিক কোড পাওয়া যায় সেই জটিল কোডের তথ্যকে বিচার বিশ্লেষণের কাজ করে বায়োইনফরমেটিক্স। কম্পিউটার সাইন্স, রসায়ন, গণিত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পরিসংখ্যান সহ প্রকৌশলবিদ্যার যাবতীয় জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে জটিল কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়। যেটা ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন ডাটা গুলো বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। মূলত এর সব কিছুর সমন্বয়ে গঠিত হয় বায়োইনফরমেটিক্স। আর এ সবগুলোর সমন্বয়কেই একসাথে বায়োইনফরমেটিক্স বলে। এই সবগুলো বিষয়কে একত্রে বায়োইনফরমেটিক্স পদ্ধতি হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

বায়োইনফরমেটিক্স এর জনক কে | বায়োইনফরমেটিক্স এর উদ্দেশ্য

উপরের প্যারাগ্রাফে আমি আপনাদের ধারণা দিয়েছি বায়োইনফরমেটিক্স কি (Bioinformatics ki)? এ বিষয় সম্পর্কে। বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার ( Bioinformatics er babohar) এবং বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Bioinformatics er subidha osubidha) জানার পূর্বে আমাদের জানা প্রয়োজন বায়োইনফরমেটিক্স জনক কে? কিংবা বায়োইনফরমেটিক্স এর উদ্দেশ্যই বা কি? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখতে হবে। 

বায়োইনফরমেটিক্স এই শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় ১৯৭০ সালে। পাইলিয়েন হগওয়েগ এবং বেন হেসপার সর্বপ্রথম তাদের গবেষণালব্ধ কাজের ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স শব্দটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে মার্গারেট ওকলে ডেহাফ বায়োইনফরমেটিক্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন এবং মানুষের সামনে সর্বপ্রথম বায়োইনফরমেটিক্স এর বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি ছিলেন একজন আমেরিকান ভৌত রসায়নবিদ।
বায়োইনফরমেটিক্স এ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে বায়োইনফরমেটিক্স এর জনক বলা হয়ে থাকে। এবার আসি বায়োইনফরমেটিক্স এর উদ্দেশ্য এই বিষয়ে। জৈবিক প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে অনুধাবন করায় হলো বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান উদ্দেশ্য। মানুষের খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া, শোষণসহ জীব বিজ্ঞানের জটিল সব কার্যকলাপ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য বায়োইনফরমেটিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এ কাজগুলোকে সহজ করে দেওয়াই বায়োইনফরমেটিক্স এর উদ্দেশ্য। 

মোটকথা, কম্পিউটার বিজ্ঞান, গণিত, রসায়ন এবং পরিসংখ্যান সহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যাবতীয় জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে জীববিজ্ঞানে প্রয়োগ পদ্ধতি এবং সেটা মানুষের অনুধাবনযোগ্য করে তোলাই হলো বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান উদ্দেশ্য।

বায়োইনফরমেটিক্স এর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Bioinformatics) | বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রয়োগ

বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার বা বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা জানার পূর্বে আমাদের জানা প্রয়োজন এর বৈশিষ্ট্য কি? কোথায় বা বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রয়োগ রয়েছে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক বায়োইনফরমেটিক্স এর বৈশিষ্ট্য এবং বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রয়োগ ক্ষেত্র সম্পর্কে। বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা যেমন: ফলিত গণিত, রসায়নবিদ্যা ,পরিসংখ্যানবিদ্যা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কম্পিউটার বিজ্ঞান এগুলো ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের সমস্যা সমাধান করায় মূলত বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল জৈবিক প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে অনুধাবন করা।
বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে মানুষের জৈবিক কার্যকলাপ অনেকাংশেই বোঝা সম্ভব হয়েছে। যেমন: মানুষের খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া, শোষণ প্রক্রিয়া ইত্যাদি জটিল কার্যকলাপ বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে বোঝা সম্ভব। এটা বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। এবার বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রয়োগ দেখা যায়। নিচে কয়েকটি বায়োইনফরমেটিক্স প্রয়োগ ক্ষেত্র উল্লেখ করা হলোঃ
  • বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান প্রয়োগ ক্ষেত্র হলো এটি প্রাণীর জেনেটিক গঠন সংগ্রহ করতে ব্যবহৃত হয়।
  • বড় বড় কোম্পানিতে ওষুধ তৈরি করতে বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়।
  • জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রেও বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রয়োগ দেখা যায়
  • চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক বড় বড় ডিএনএ (DNA) এর গঠন, আরএনএ (RNA) এর গঠন এবং প্রোটিনের গঠন সম্পর্কে জানতে বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়।
এই ছিল মূলত বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রয়োগ ক্ষেত্র। তো এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বায়োইনফরমেটিক্স বৈশিষ্ট্য বা বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রয়োগ সম্পর্কে ।

বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার (Use of Bioinformatics) | বায়োইনফরমেটিক্স এর কাজ

উপরে বায়োইনফরমেটিক্স কি? ( Bioinformatics ki) এই বিষয় সহ আরো যাবতীয় বিষয় আলোচনা করেছি। আজকের আর্টিকেলের প্রধান বিষয় যেটা অর্থাৎ বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার (Use of Bioinformatics) বা বায়োইনফরমেটিক্স এর কাজ নিয়ে এই প্যারাগ্রাফের বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন জেনে নিই বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার ( Bioinformatics er babohar) সম্পর্কে। কোন কোন ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহার করা যায় এবার তা জেনে নেয়া যাক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত (Applications of Bioinformatics) হয়ে থাকে। তবে প্রধান প্রধান ক্ষেত্র গুলো এখানে উল্লেখ করা হলোঃ
  • বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে মলিকিউলার মেডিসিন তৈরি করা হয়ে থাকে।
  • জিন থেরাপি প্রয়োগেও বায়োইনফরমেটিক্স কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • ওষুধের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত হয়।
  • তাছাড়া নতুন ওষুধ তৈরি করতেও বায়োইনফরমেটিক্স বিদ্যাকে ব্যবহার করা হয়।
  • বর্জ্য পরিষ্কারকরণেও বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • বিভিন্ন জিনের গঠন সম্পর্কে জানতেও বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
  • তাছাড়া নিউক্লিক অ্যাসিড, এমিনো এসিড ইত্যাদি বড় বড় যৌগসমূহ সম্বন্ধে জানতেও বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রযুক্তির প্রয়োজন।
  • জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন জিনোম সমাগম এর ক্ষেত্রেও বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।
  • বিবর্তন শিক্ষার ক্ষেত্রেও বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
  • বিজ্ঞানের আরেকটি শাখা বায়োটেকনোলজির ক্ষেত্রেও বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহৃত হয়।
  • তাছাড়া বিজ্ঞানের আরেকটি জনপ্রিয় শাখা ভেটেরিনারি সাইন্স, এটিতেও বায়োইনফরমেটিক্স এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে।
  • বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান ব্যবহার গুলোর মধ্যে আরেকটি ক্ষেত্র হলো কৃষি ক্ষেত্র।
  • তাছাড়া বায়ো অস্ত্র উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রাধান্য রয়েছে ।
এগুলোই হলো মূলত বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার (Applications of Bioinformatics)। তো চলুন এবার জেনে নিই বায়োইনফরমেটিক্স এর কাজ সম্পর্কে। বায়োইনফরমেটিক্স প্রধানত তিনটি কাজ করে থাকে। যথাঃ
  • বায়োইনফরমেটিক্স এর কাজ হল ডিএনএ সিকোয়েন্স এর গঠন থেকে প্রোটিন সিকুয়েন্স এর গঠনকে নিয়ন্ত্রণ করা।
  • বায়োইনফরমেটিক্স প্রোটিন সিকুয়েন্স এর গঠন থেকে প্রোটিন স্ট্রাকচার কে নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে।
  • ইনফরমেটিকসের আরেকটি কাজ হল প্রোটিন সিকুয়েন্সের স্ট্রাকচার থেকে প্রোটিনের কাজ নির্ণয় করা।
এগুলোই হলো প্রধানত বায়োইনফরমেটিক্স এর কাজ। তো আশা করি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহার বা ইনফর্মেটিক্স এর কাজ সম্পর্কে।

বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Bioinformatics)

আজকের আর্টিকেলের প্রধান আরেকটি আলোচ্য বিষয় হলো বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantages and Disadvantages of Bioinformatics)। উপরের প্যারাগ্রাফে বায়োইনফরমেটিক্স কি? বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন জানবো বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Bioinformatics er subidha osubidha) সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নিই বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ (Advantages and Disadvantages of Bioinformatics)। নিচে বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Bioinformatics er subidha osubidha) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধাঃ বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনার এ পর্বে এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা (Advantages of bioinformatics) সম্পর্কে। চলুন জেনে নেয়া যাক বায়োইনফরমেটিক্স এর কি কি সুবিধা রয়েছে। নিচে বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান সুবিধা (Bioinformatics er subidha ) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
  • আণবিক বংশগতিবিদ্যায় বায়োইনফরমেটিক্স এর কার্যত সুবিধা লক্ষ্য করা যায়।
  • বায়োইনফরমেটিক্স বিপুল পরিমাণে তথ্য মজুদে সাহায্য করে। যেটা বায়োইনফরমেটিক্স এর বড় সুবিধার মধ্যে অন্যতম।
  • বায়োইনফরমেটিক্স অ্যালগরিদম ভিত্তিক বিভিন্ন ডাটা উত্তোলন করতে সহায়তা করে।
  • জীববিজ্ঞানের উন্নয়নে বায়োইনফরমেটিক্স এর ভূমিকা অপরিসীম।
  • চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির কারণ সম্পর্কে গবেষণা করতে বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি সাহায্য করে।
  • নতুন ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বায়োইনফরমেটিক্স এর ভূমিকা অপরিসীম।
  • বায়োইনফরমেটিক্স নতুন ডিএনএ (DNA) সিকুয়েন্স তৈরি করতে সাহায্য করে।
  • ফরেনসিক্স বিশ্লেষণের ক্ষেত্রেও বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি সুবিধা দিয়ে থাকে।
  • গুণগত পুষ্টির মান উন্নয়নে বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা রয়েছে।
এগুলো হলো বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা সমূহ। নিশ্চয়ই এখন বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

বায়োইনফরমেটিক্স এর অসুবিধাঃ বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনার এ পর্বে এখন আমি আপনাদের জানাবো বায়োইনফরমেটিক্স এর অসুবিধা (Disadvantages of Bioinformatics) সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বায়োইনফরমেটিক্স এর অসুবিধা সমূহ (Bioinformatics er osubidha) কোনগুলো। নিচে বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান প্রধান অসুবিধা গুলো তুলে ধরা হলোঃ
  • বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান অসুবিধা হচ্ছে চিকিৎসা ও বিভিন্ন জেনেটিক তথ্যের দ্বারা গোপনীয়তা হারিয়ে যাওয়া।
  • বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এবং জেনেটিক কোডের অনিয়মের কারণে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি হতে পারে।
  • বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি জৈব বৈচিত্রের ক্ষতি সাধন করতে পারে। মানব জীবনে এর ফলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
  • বায়োইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি পরিচালনা করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য। ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
  • বায়োইনফরমেটিক্স ব্যবহার করে গবেষণার কার্যক্রম পরিচালনা করলে প্রচুর অর্থ খরচ হয়। যেটা অন্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে খুব একটা বেশি অর্থ লাগে না।
  • বায়োইনফরমেটিক্স দ্বারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে পরিচালনা না হলে রোগীর বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
এগুলোই হল বায়োইনফরমেটিক্স এর অসুবিধা সমূহ। তো এখন নিশ্চয় আর সমস্যা নেই বায়োইনফরমেটিক্স এর অসুবিধা সম্পর্কে জানতে। নিশ্চয় বিষয়টি এখন আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে বলে আমি মনে করছি।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | বায়োইনফরমেটিক্স কি - বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার - বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের বায়োইনফরমেটিক্স কি? বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার এবংবায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা সহ বায়োইনফরমেটিক্স এর যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বায়োইনফরমেটিক্স সম্পর্কে পরিপূর্ণ একটা ধারণা পেয়েছেন। পরিশেষে বলতে চাই, এই আর্টিকেলের কোথাও যদি আপনার বুঝতে কোন অসুবিধা থাকে তবে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমাকে কমেন্টে জানাতে পারেন। 

আমি যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আর বায়োইনফরমেটিক্স সম্পর্কে আপনি যেমন জানলেন, তেমনি আপনার বন্ধুরা যেন বিষয়টি জানতে পারে সেজন্য অবশ্যই এটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর নিত্যনতুন সব আপডেট সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটির (M.F. Hossain) সাথেই থাকুন। এই বলে আমি আমার সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই সমাপ্তি ঘোষণা করছি। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

M.F. Hossain ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url