ল্যাপটপ চালানোর ৮টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম - কম্পিউটার কিভাবে চালায়

ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম বা কম্পিউটার কিভাবে চালায় এই বিষয়টি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন? আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম বা কম্পিউটার কিভাবে চালায় এ বিষয়টি জানতে পারবেন। সাথে সাথে ল্যাপটপ বন্ধ করার নিয়মও জানতে পারবেন। তাহলে চলুন ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম বা কম্পিউটার কিভাবে চালায় বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
ল্যাপটপ-চালানোর-নিয়ম
আজকের এই আর্টিকেলটি যারা কম্পিউটার বেসিক শিখতে চাই তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আজকের আর্টিকেলটি একদম যারা শুরু থেকে কম্পিউটার শিখবে তাদের জন্য খুবই উপকারী হবে। তাহলে চলুন মূল আলোচন শুরু করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম - কম্পিউটার কিভাবে চালায়

ভূমিকা | ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম - কম্পিউটার কিভাবে চালায়

আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম এবং কম্পিউটার কিভাবে চালায় এই সম্পর্কে। এর সাথে সাথে ল্যাপটপে কিভাবে লিখবো? ল্যাপটপ বন্ধ করার নিয়ম, ল্যাপটপ প্রশিক্ষণ এবং ল্যাপটপে কিভাবে অ্যাপস ডাউনলোড করব? ইত্যাদি বিষয়সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। আজকের এই আর্টিকেলটি যারা একদম শুরু থেকে কম্পিউটার এবং ল্যাপটপে প্রশিক্ষণ নিতে চান তাদের জন্য খুবই উপকারী হতে চলেছে। 

এতসব বিষয় সম্পর্কে আপনি তখনই জানতে পারবেন যখন এ আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে আমি আশা করব আপনি একজন সুপ্রিয় পাঠক হিসেবে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় ফিরে যায়।

ল্যাপটপে কিভাবে লিখবো

ল্যাপটপে কিভাবে লিখবো এই প্রশ্নটিই করে থাকে যারা কম্পিউটার শিখতে নতুন আগ্রহ প্রকাশ করে তারা। অর্থাৎ নতুন কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ কেনার পরে লেখালেখির ব্যাপারে যখন আগ্রহ জন্মায় তখন তারা ল্যাপটপে কিভাবে লিখবো এই প্রশ্নটি করে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি লেখালেখির প্রাথমিক নিয়ম কানুন গুলো জানতে পারবেন। আমাদের মূলত দুই ধরনের লেখালেখির প্রয়োজন হয়ে থাকে। প্রথমত বাংলা টাইপিং করা এবং দ্বিতীয় ইংরেজি টাইপিং করা। এর জন্য প্রথমত আপনার ল্যাপটপে একটি কিবোর্ড ইন্সটল দেওয়া থাকতে হবে।
আমাদের জনপ্রিয় দুটি কিবোর্ড হলো অভ্র কিবোর্ড এবং বিজয় বায়ান্নো কিবোর্ড। ল্যাপটপে লেখার জন্য আপনাকে লেখালেখির প্রাথমিক ধারণাগুলো রাখতে হবে। যেমনঃ বাংলা লেখার ক্ষেত্রে কিবোর্ডে যে উপর নিচ লেখাগুলো থাকে অর্থাৎ একটি বাটনে দেখবেন উপরে খ এবং নিচে ক লেখা থাকে। আপনি যদি ওই বাটনে স্বাভাবিকভাবে চাপ দেন তাহলে ক অক্ষরটি উঠবে। কিন্তু যদি খ অক্ষরকে তুলতে চান তাহলে আপনাকে শিফট চেপে ধরে ওই বাটনটি প্রেস করতে হবে। 

প্রত্যেকটা অক্ষরের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম। মোটকথা, শিফট চেপে ধরে কোন বাটন প্রেস করলে তার উপরের লেখাটি উঠবে। এছাড়াও লেখালেখির ক্ষেত্রে আরো কিছু বেসিক নিয়মকানুন রয়েছে যে নিয়ম কানুন গুলো জানা থাকলে আপনি ল্যাপটপে লিখতে পারবেন। এছাড়া ল্যাপটপের আরো নিয়মের মধ্যে রয়েছে যেগুলো সেগুলো হলো আপনি যদি কোন লেখাকে সিলেক্ট করে কন্ট্রোল এবং সি (ctrl+C) একসাথে চাপ দেন তাহলে সেই লেখাটি কপি হয়ে যাবে। 

আবার লেখার ক্ষেত্রে কোন কিছু ভুল হলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য কন্ট্রোল এবং জেড (ctrl+Z) একসাথে চাপ দিলে আপনার লেখাটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে। এই বেসিক নিয়ম কানুন গুলো আপনার জানা থাকলে আপনি ল্যাপটপে লিখতে পারবেন। ইংরেজি লেখার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। শুধু সেখানে ভাষাটা ইংরেজি এই আর কি? কিন্তু নিয়ম-কানুন গুলো সব একই। এতক্ষণ আপনাদের ল্যাপটপে কিভাবে লিখবো এ বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করলাম। 

মোটকথা, লেখালেখির বেসিক জানা থাকলে আপনি ল্যাপটপে লিখতে পারবেন। আশা করছি ল্যাপটপে কিভাবে লিখবো এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

ল্যাপটপ বন্ধ করার নিয়ম

ল্যাপটপ বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে। আমরা যারা নতুন নতুন ল্যাপটপ কিনি তাদের ক্ষেত্রেই ল্যাপটপ বন্ধ করার ভুল পদ্ধতিটি দেখা যায়। ল্যাপটপ বন্ধ করার একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যেই নিয়মটি মেনেই ল্যাপটপ বন্ধ করা উচিত। আমরা অনেকেই আছি ল্যাপটপ বন্ধ করার সেই সঠিক নিয়মটি জানি আবার অনেকেই আছি ল্যাপটপ বন্ধ করার নিয়ম জানি না। শুধু সুইচ অফ রেখেই ল্যাপটপকে বন্ধ করে দিই। 

সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ল্যাপটপ বন্ধ না করলে ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ খুব ভালো দেবে না এবং খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাজেই, ল্যাপটপ বন্ধ করার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই আমাদের ল্যাপটপ বন্ধ করা উচিত। আগেই বলেছি, এই আর্টিকেলটি লিখছি একদম যারা নতুন অর্থাৎ কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ সম্পর্কে খুব একটা বেশি ধারণা রাখে না তাদের জন্য। মোটকথা, বিগেনারদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। 

তাহলে ল্যাপটপ বন্ধ করার সঠিক পদ্ধতি কি, তাই না? ল্যাপটপ বন্ধ করার জন্য প্রথমে আপনাকে ল্যাপটপের বাম কোনায় স্টার্ট (start) বাটনে ক্লিক করতে হবে। স্টার্ট বাটনে ক্লিক করার পরে আপনি পাওয়ার নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন। তারপর পাওয়ার (power) অপশনে ক্লিক করলে শাটডাউন (shut down) নামে আরেকটি অপশন দেখতে পাবেন। এবার আপনাকে শাটডাউন অপশনে ক্লিক করতে হবে। শাটডাউন অপশনে ক্লিক করার পরে ল্যাপটপ একটু সময় নিয়ে আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যাবে। 

এটাই হলো ল্যাপটপ বন্ধ করার সঠিক পদ্ধতি। এখানে যে ধাপগুলোর কথা বলা হলো এই ধাপ গুলো মেনে আপনি ল্যাপটপ বন্ধ করবেন। এভাবে ল্যাপটপ বন্ধ করলে ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো দেবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। এছাড়াও ল্যাপটপ বন্ধ করার আরেকটি শর্টকাট উপায় রয়েছে সেটি হলো আপনার ল্যাপটপের অলটার এবং ফাংশন ফোর (alt+f4) বাটন কে একসাথে চাপ দিলেও আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারটি শাটডাউন হয়ে যাবে। 

এক্ষেত্রে এই দুটি বাটন চেপে যদি কারো শাটডাউন অপশনটি না আসে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে কন্ট্রোল, অল্টার এবং ফাংশন ফোর (ctrl+alt+f4) এই তিনটি বাটন একসাথে চাপ দিলেও আপনার ল্যাপটপটি শাটডাউন হয়ে যাবে। তাছাড়া আপনি আলাদাভাবে একটি ফোল্ডার ক্রিয়েট করে সেখান থেকেও শাটডাউন দিতে পারেন। এ পদ্ধতি গুলো মেনে ল্যাপটপ বন্ধ করলে ল্যাপটপের ক্ষেত্রে সেটা অনেক ভালো হবে। আশা করি ল্যাপটপ বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

কম্পিউটার কিভাবে চালায়

কম্পিউটার কিভাবে চালায় এটি আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন। কম্পিউটার চালানোর কিছু সঠিক নিয়ম-কানুন রয়েছে। যে নিয়মগুলো আমরা অনেকেই জানি না। সঠিক নিয়মকানুন না জানার কারণে কম্পিউটার চালানোর ফলে কম্পিউটারের নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। সঠিক নিয়ম কানুন জেনে কম্পিউটার চালালে এই সমস্যাগুলো আশা করি হবে না। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি কম্পিউটার কিভাবে চালায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কম্পিউটার চালানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই কম্পিউটার অন করার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তারপর কম্পিউটারের সুইচটি অন করে দিলে আপনার কম্পিউটার চালু হয়ে যাবে।
তারপর আপনি আপনার প্রয়োজন বোধে কম্পিউটারের যে কাজটি করার প্রয়োজন সে কাজটি করতে পারবেন। কম্পিউটার চালানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই কম্পিউটার সম্পর্কে বেসিক নলেজ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কম্পিউটার চালাতে হলে আপনাকে কম্পিউটার বেসিক জানতে হবে। কম্পিউটার বেসিক না জেনে আপনি কখনোই কম্পিউটারকে চালাতে পারবেন না। কম্পিউটারকে সঠিকভাবে চালাতে হলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কোনটির কাজ কি? কোথায় চাপ দিলে কি হয়? এই সংশ্লিষ্ট আরও যাবতীয় বিষয়। 

কম্পিউটার বেসিক শেখার পরে কম্পিউটার নিয়ে যত বেশি ঘাটাঘাটি করবেন আপনি কম্পিউটারের তত অ্যাডভান্স লেভেলের কাজ করতে পারবেন। কাজেই, বোঝাই যাচ্ছে কম্পিউটার চালাতে হলে অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞানগুলো রাখা প্রয়োজন। আর কম্পিউটারে প্রাথমিক জ্ঞানগুলো অর্জন করার জন্য আপনাকে ট্রেনিং করতে হবে। তবেই আপনি এগুলো রপ্ত করতে পারবেন এবং কম্পিউটার চালাতে পারবেন। 

আশা করছি এতক্ষণ বুঝতে পেরেছেন কম্পিউটার চালাতে হলে দক্ষতার প্রয়োজন। আপনি না জেনে কোনভাবেই কম্পিউটারকে চালাতে পারবেন না। কম্পিউটারে কোন কাজ করতে হলে অবশ্যই শেখার সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই ক্লিয়ার হয়েছে কম্পিউটার কিভাবে চালায়।

ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম

ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম সম্পর্কে এবার আমরা জেনে নেব। ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম আমাদের আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয়। আমরা অনেকেই ল্যাপটপ কেনার পরে ল্যাপটপ কিভাবে চালাতে হয় এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করি। বিশেষ করে যারা ল্যাপটপের খুব একটা ভালো বিষয় বুঝেন না তারা এ প্রশ্নটি করে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম গুলো নিম্নরূপঃ
  • ল্যাপটপ চালানোর প্রথম নিয়ম হলো ল্যাপটপকে সবসময় পাতলা রাখার চেষ্টা করা। অর্থাৎ ল্যাপটপে অপ্রয়োজনীয় গান, সিনেমা এবং বিভিন্ন ভিডিও রেখে মেমোরিতে জায়গা নষ্ট না করে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখা। এটি ল্যাপটপ চালানোর প্রথম নিয়ম।
  • ল্যাপটপ চালানোর আরেকটি নিয়ম হলো অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ল্যাপটপ ব্যবহার না করে চেষ্টা করা কম তাপমাত্রায় ল্যাপটপ ব্যবহার করতে। এতে ল্যাপটপের ব্যাটারি সহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জিনিস ভালো থাকবে। কারণ ল্যাপটপ তৈরি করা হয়ে থাকে ঠান্ডা পরিবেশে চালানোর জন্য।
  • ল্যাপটপ চালানোর আরেকটি নিয়মের মধ্যে রয়েছে সঠিক চার্জিং পদ্ধতি। চেষ্টা করবেন আপনার ল্যাপটপকে অরিজিনাল চার্জার দিয়ে চার্জে দেওয়ার জন্য। কোথাও যদি ল্যাপটপ নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেখানে প্রয়োজনে চার্জারও নিয়ে যাবেন। কারণ সঠিক ভাবে ল্যাপটপে চার্জ করা ল্যাপটপ ভালো রাখার বিষয়ে অনেক কিছু নির্ভর করে।
  • ল্যাপটপ চালানোর আরেকটি নিয়ম হলো অপারেটিং সিস্টেমের আসল ভার্সনটি ব্যবহার করা। অনেকে খরচের কথা চিন্তা করে অরিজিনাল অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন না। দীর্ঘকালীন পাইরেটেড ভার্সন ব্যবহারের ফলে ল্যাপটপের অনেক ক্ষতি হতে পারে পারে। এক্ষেত্রে বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল করবেন।
  • ল্যাপটপ ব্যবহারের আরেকটি নিয়ম হলো সেরা ভিপিএন ব্যবহার করা। আমাদের কাজের নানা প্রয়োজনে ভিপিএন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। সে ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন সেরা ভিপিএনটিকে ব্যবহার করতে। এটি আপনার ল্যাপটপকে অনেক সুরক্ষা দান করবে।
  • আবার অনেক সময় দেখা যায় ল্যাপটপ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভাইরাস নির্মূলের জন্য অ্যান্টিভাইরাস এর প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রের লক্ষ্য রাখবেন এন্টিভাইরাসটি যেন ভালো হয়। ভালো এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা ল্যাপটপ চালানোর আরেকটি নিয়ম।
  • ল্যাপটপ চালানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে নিয়ম সেটি হল ডিভাইসের প্রটেকশন। অর্থাৎ সকল ফাইল এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণের জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। তাছাড়া আপনার ল্যাপটপ থেকে সুরক্ষার জন্য আপনি বিভিন্ন স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। যাতে হ্যাকাররা আপনার তথ্যগুলো চুরি করতে না পারে।
  • আমাদের অনেককে দেখা যায় কাজ না থাকলেও ল্যাপটপকে সচল রাখে। এটি একদমই ঠিক না। এতে ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যায়। আপনার যখন কোন কাজ থাকবে না তখন চেষ্টা করবেন ল্যাপটপকে বন্ধ রাখার জন্য। এটিও ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম।
এতক্ষণ আপনাদের সাথে ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এগুলোই হলো মূলত ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার নিয়ে এক কথায় কিছু উত্তর

ল্যাপটপ প্রশিক্ষণঃ ল্যাপটপ প্রশিক্ষণ এর জন্য আপনি বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ প্রশিক্ষণ এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেখানো হয়ে থাকে।

ল্যাপটপে কিভাবে অ্যাপস ডাউনলোড করবঃ ল্যাপটপে অ্যাপস ডাউনলোড করার জন্য আপনি গুগল ক্রোম ব্রাউজার অথবা মাইক্রোসফট বিং ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো থেকে বিভিন্ন অ্যাপস ডাউনলোড করে ইন্সটল করা যায়। আশা করি ল্যাপটপে কিভাবে অ্যাপস ডাউনলোড করব এ বিষয়টি বুঝেছেন।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম - কম্পিউটার কিভাবে চালায়

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের ল্যাপটপ চালানোর নিয়ম এবং কম্পিউটার কিভাবে চালায় এই বিষয় সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক উপকার হয়েছে। আরে আর্টিকেলটি পড়ে যদি কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাতে পারেন। আমি চেষ্টা করব আপনার সকল সমস্যার সমাধান করার জন্য। 

আর এই আর্টিকেলটি পড়ে পড়ে যদি আপনার মনে হয় যে একটি বিষয়ও শিখতে পেরেছেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাদেরও বিষয়টি জেনে থাকা প্রয়োজন। কারণ বর্তমান সময়ে সকল ক্ষেত্রেই কম্পিউটার ইন্টারনেট এগুলোর প্রয়োজন। আর এরকম নিত্যনতুন সব আপডেট খবর সবার আগে পেতে চাইলে আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাকে সাপোর্ট প্রদান করুন। যাতে করে আপনাদের সাপোর্ট পেয়ে উৎসাহিত হয়ে আমি আরো অন্যান্য বিষয়ে তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। 

তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই দোয়াই করি। পাশাপাশি আপনারাও আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন ভালো থাকতে পারি এবং আল্লাহ যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

M.F. Hossain ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url