পড়ার সময় ঘুম কমানোর ১২টি উপায় - ঘুম কমানোর ২টি কার্যকর ওষুধ

পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় এবং ঘুম কমানোর ওষুধ সম্পর্কে নিশ্চয় জানতে চাচ্ছেন? সমস্যা নেই, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় এবং ঘুম কমানোর ওষুধ সম্পর্কে জানতে পারবেন। সাথে সাথে ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কেও আলোচনা করব। তাই চলুন পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় এবং ঘুম কমানোর ওষুধ সম্পর্কে জেনে নিই।
পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় - ঘুম কমানোর ওষুধ
আমাদের সকলকেই পড়ালেখায় ভালো করতে চাইলে অতিরিক্ত ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে কম ঘুমানোর চেষ্টা করা উচিত। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি এই সমস্ত বিষয়ে জানতে পারবেন। তাই এই আর্টিকেলটি আমাদের সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় - ঘুম কমানোর ওষুধ

ভূমিকা | পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় - ঘুম কমানোর ওষুধ

আজকের এই আর্টিকেলে প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় বা ঘুম কমানোর ওষুধ সম্পর্কে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত ঘুম কমানোর উপায় বা অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায়, ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায় অধিক সময় পড়ার উপায় দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় পড়ার সময় ঘুম আসে কেন? কি খেলে ঘুম চলে যায়? সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ। এতসব বিষয় জানার জন্য আপনাকে এ আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগের সাথে পড়তে হবে। আমাদের সকলের জন্যই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই, আমি আশা করব আপনি একজন সুপ্রিয় পাঠক হিসেবে এই তথ্যবহুল আর্টিকেলটি পড়বেন এবং ঘুম কমানোর বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জানবেন। চলুন মূল আলোচনায় ফিরে যায়।

অতিরিক্ত ঘুম কমানোর উপায় | অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায়

অতিরিক্ত ঘুম কমানোর উপায় বা অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায় সম্পর্কে এবারে আমাদের আলোচনা। অতিরিক্ত ঘুম কিন্তু মোটেও ঠিক না। আমাদের মধ্যে অনেকেই দেখা যায় সব সময় ঘুমায়। অতিরিক্ত ঘুম শরীরে নানা রকম রোগব্যাধি সৃষ্টি করে। কাজেই, আমাদের এই অতিরিক্ত ঘুমটাকে কমাতে হবে। এখন আমরা যদি অতিরিক্ত ঘুম কমানোর উপায় বা অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায় না জানি তাহলে কিভাবে ঘুম কমাবো? এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই আজকে আমার এই আলোচনা। আমাদের সকলেরই জানতে হবে কিভাবে অতিরিক্ত ঘুম কমানো যায় বা অতিরিক্ত ঘুম দূর করা যায়।সকল মানুষেরই প্রয়োজন অতিরিক্ত ঘুম থেকে নিজেকে বিরত রাখা।

বিশেষ করে শিক্ষার্থী হলে তো কোন কথাই নেই। লেখাপড়ার বয়সে যদি সব সময় ঘুমের মধ্যেই কাটান তাহলে বাকিটা জীবন খুব একটা ভালো হবে বলে আশা করা যায় না। কাজেই, অতিরিক্ত ঘুমকে ত্যাগ করে যথাযথ পরিশ্রমের পিছনে লেগে পড়তে হবে। দেখবেন একসময় ইনশাল্লাহ সাফল্য আসবে। তাহলে এই অতিরিক্ত ঘুম কমাবো কিভাবে? কিংবা অতিরিক্ত ঘুম দূর করব কিভাবে? চলুন এই ব্যাপারে এবার জেনে নিই। অতিরিক্ত ঘুম কমানোর উপায় বা অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায় গুলো নিম্নরূপঃ
  • রাতে পরিমাণ মতো ঘুমান। তাহলে অন্য সময়ে আপনার আর অতিরিক্ত ঘুম আসবেনা। রাতে না ঘুমানো অতিরিক্ত ঘুমের একটি কারণ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ৬ ঘন্টা ঘুমই যথেষ্ট।
  • অতিরিক্ত ঘুম কমানোর জন্য আপনি চাইলে চা অথবা কফি পান করতে পারেন। এটি অতিরিক্ত ঘুম কমাতে সাহায্য করে।
  • আবার অতিরিক্ত ঘুম দূর করতে আপনি প্রয়োজনে একটু ব্যায়াম করতে পারেন। এটিও আপনার অতিরিক্ত ঘুম দূর করে দেবে।
  • কাজের মধ্যে অতিরিক্ত ঘুম পেলে একটু বিরতি দিন। ঘুমটি কাটানোর জন্য প্রয়োজন বোধে একটু হাটাহাটি করুন। এটিও অতিরিক্ত ঘুম কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এই পদক্ষেপ গুলো মেনে চলুন আশা করা যায় আপনার অতিরিক্ত ঘুম কমে যাবে। আশা করি অতিরিক্ত ঘুম কমানোর উপায় বা অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।

ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। অতিরিক্ত ঘুম বিভিন্ন অসুখের কারণ। কাজেই, আমাদের অতিরিক্ত ঘুমকে অবশ্যই কমাতে হবে শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে। ঘুম কমানোর কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। যেগুলো একবার অভ্যাস করে ফেললে প্রাকৃতিক নিয়মে এমনিতেই আপনার ঘুম কমে যাবে। তাহলে ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলো সম্পর্কে এবার জেনে আসি। ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলো নিম্নরূপঃ
  • ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায় এর মধ্যে প্রথমে যে বিষয়টি আছে সেটি হল রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো। রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে অন্য সময় আর অতিরিক্ত ঘুম আসবে না। এটি প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম কমানোর একটি উপায়।
  • প্রাকৃতিকভাবে ঘুম কমানোর আরেকটি উপায় হতে পারে নিয়মিত শরীর চর্চা তথা ব্যায়াম করা। ব্যায়ামের মাধ্যমে যেমন শরীর ভালো থাকে তেমনি অতিরিক্ত ঘুম থেকেও দূরে থাকা যায়।
  • অতিরিক্ত ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায় এর মধ্যে আরেকটি যে বিষয় সেটি হচ্ছে জল পান করা। জল পান করলে ঘুম কেটে যায়। তাছাড়া আপনি জলের ঝাপটা চোখেও দিতে পারেন অতিরিক্ত ঘুম আসলে। এটি ঘুম কমানোর একটি প্রাকৃতিক উপায়।
  • প্রাকৃতিকভাবে ঘুম কমাতে হলে অবশ্যই আপনাকে এলার্ম ঘড়ি ব্যবহার করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠার জন্য অ্যালার্ম দিতে হবে এবং এলার্ম ঘড়ি কে হাতের কাছে রাখা যাবে না। অনেক দূরে রাখতে হবে। এতে করে যখন অ্যালার্ম বাজবে তখন আপনি ঘুম থেকে উঠে পড়বেন। আর যদি অ্যালার্ম ঘটি হাতের কাছে থাকে তাহলে আপনি অলসতার কারণে সেটি বন্ধ করে আবার ঘুমাতে পারেন। আশা করি বিষয়টি বুঝেছেন।
এই প্রাকৃতিক পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে আশা করা যায় আপনার ঘুম কম হবে। এতক্ষণ আপনাদের ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম কমাতে চাইলে এই পদক্ষেপগুলো ফলো করতে পারেন।

ঘুম কমানোর ওষুধ

এখন আমরা ঘুম কমানোর ওষুধ সম্পর্কে জানব। অতিরিক্ত ঘুম মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমাদের অতিরিক্ত ঘুমকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের অনেকেই আছি যাদের অতিরিক্ত ঘুমের জন্য কোন কাজ ভালোমতো হয় না। তারা ঘুম কমানোর জন্য বিভিন্ন পরামর্শ চেয়ে থাকেন। এ পর্যায়ে এসে ঘুম কমানোর ওষুধের নাম বলা প্রয়োজন। এই ওষুধটি খেলে আশা করা যায় আপনার ঘুম নিয়ন্ত্রণে আসবে ইনশাল্লাহ। এরকম ঘুম কমানোর একটি ওষুধ হলো ডায়াজিপাম (Diazepam)। ডায়াজিপাম ওষুধটি বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। এই ওষুধটি ঘুম কমানোর ওষুধ হিসেবে সুপরিচিত। মূলত অতিরিক্ত ঘুম আসে শরীর দুর্বলতার জন্যও।
সে ক্ষেত্রে আপনি সিনকারা নামে সিরাপটি খেতে পারেন। এটি শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে আপনার অতিরিক্ত ঘুম কে নিয়ন্ত্রণে আনবে। আগেই বলেছি, বিভিন্ন সমস্যার জন্য অতিরিক্ত ঘুম হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যাটি হলে আপনি সর্বপ্রথম একজন ভাল ডাক্তার দেখাবেন। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আপনাকে কাঙ্খিত ওষুধটি দিবেন। আর আমার পরামর্শ থাকবে আপনি আগেই এই ওষুধগুলো খেতে যাবেন না। এখানে ওষুধ গুলোর নাম উল্লেখ করা হয়েছে শুধুমাত্র আপনাদের জানানোর উদ্দেশ্যে। ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সেবন করবেন সে ক্ষেত্রে আরো ভালো উপকার পাবেন বলে আমার বিশ্বাস। আশা করি বিষয়টি বুঝেছেন।

পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায়

পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় এটি আমাদের আজকে আলোচনার বিষয়। আমরা অনেকেই আছি যাদের সারাদিন কোন ঘুম নেই কিন্তু পড়তে বসলেই চোখে যেন ঘুম চলে আসে। আজকে আপনাদের সাথে পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় নিয়েই আলোচনা করব। কারণ পড়ার সময় যদি আপনার চোখে ঘুম থাকে তাহলে সেই পড়াটি কার্যকর হবে না। বরং চোখে ঘুম নিয়ে পড়া আর না পড়া সমান কথা। কাজেই, যখন পড়তে বসবেন তখন চেষ্টা করবেন যাতে আপনার ঘুম না আসে। পড়ার সময় যাতে ঘুম না আসে সেজন্য আপনাকে আপনার অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে।

পড়ার সময় ঘুম কমাতে হলে প্রথমত আপনাকে খুব বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। চাইলে পানির ঝাপটা চোখেও দিতে পারেন এতে ঘুম ছুটে যাবে। এরকম আরো অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় পড়ার সময় ঘুম কমানোর ক্ষেত্রে। এখন আপনাদের সামনে আমি পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে একটি লিস্ট উপস্থাপন করব। এটি যদি মেনে চলতে পারেন আশা করা যায় আপনার পড়ার সময় আর ঘুম আসবে না ইনশাল্লাহ। তাহলে পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় গুলো নিম্নরূপঃ
  • পড়ার সময় ঘুম আসা মানে অন্য সময় আপনি ভালোমতো ঘুমান না। কিংবা অযথা কাজে সময় ব্যয় করেন। প্রথমত এই কাজটি করা যাবে না। রাতে আপনাকে অন্তত ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমাতে হবে। তাহলে আপনার শরীর ক্লান্ত থাকবে না এবং পড়ার সময় ঘুম আসবে না। এটি পড়ার সময় ঘুম কমাতে প্রথম পদক্ষেপ।
  • পড়ার সময় যদি ঘুম আসে তাহলে ঘুম কমানোর আরেকটি উপায় হতে পারে ৫-১০ মিনিট একটু হেঁটে আসা। বাইরে একটু হেঁটে আসলে আপনার ঘুমটি চলে যাবে। তখন আবার পড়তে মন বসবে।
  • আমাদের অনেককেই দেখা যায় একনাগাড়ে অনেকক্ষণ পড়েই যায়। এই কাজটা অবশ্যই করা যাবে না। পড়ার মাঝে মাঝে একটু গ্যাপ রাখা প্রয়োজন এতে মস্তিষ্কে স্পেস তৈরি হবে এবং পরবর্তী পড়াগুলো ভালোমতো আত্মস্থ করতে পারবেন। আর মাঝেমধ্যে একটু গ্যাপ রাখলে পড়ার সময় ঘুমটিও কেটে যায়।
  • পড়ার সময় ঘুম কমানোর আরেকটি উপায় হচ্ছে আওয়াজ করে পড়া। আওয়াজ করে পড়লে পড়ার সময় ঘুম কমানো সম্ভব হতে পারে।
  • আমরা অনেকেই আছি যারা পড়ার সময় আরাম করে। এটি কিন্তু পড়ার সময় ঘুম আসার একটি কারণ। কাজেই, পড়ার সময় ঘুম কমাতে হলে আপনাকে বিশ্রাম করা যাবে না। বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। 
  • পড়ার সময় ঘুম কমানোর আরেকটি বিশেষ উপায় হচ্ছে যখন পড়তে বসলে ঘুম আসবে তখন আপনি চাইলে চা কিংবা কফি পান করতে পারেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, চা এবং কফি পান করলে ঘুম কম হয়। কাজেই, এ পদক্ষেপটি আপনার জন্য কার্যকর হতে পারে।
  • পড়ার সময় যখন ঘুম আসবে তখন ঘুমটি কমানোর জন্য আপনি কিছু ইসলামিক সংগীত অথবা কোরআন তেলাওয়াত শুনতে পারেন। এতে আপনার পড়ার সময় ঘুম কমানো সম্ভব হতে পারে।
  • আবার পড়ার সময় যখন ঘুম আসবে তখন চাইলে হালকা খাবার গ্রহণ করতে পারেন। দেখা যাবে খাবার গ্রহণ করার ফলে আপনার ঘুমটি চলে গেছে। তখন আবার পড়তে বসবেন।
  • অনেক সময় শরীর দুর্বলতার জন্য সব সময় ঘুম পেতে পারে। চেষ্টা করবেন খুব তাড়াতাড়ি শরীরে দুর্বলতা কাটিয়ে ফেলার। যাতে পরবর্তীতে পড়ার সময় আপনার ঘুম না আসে। আর সে ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে আপনি অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন।
  • পড়ার সময় ঘুম কমাতে হলে অবশ্যই পড়ার স্থানটি আলো বাতাস পূর্ণ হওয়া উচিত। যাতে করে বাইরের আবহাওয়া ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। এরকম পরিবেশে পড়লে পড়ার সময় ঘুম কমানো যাবে।
  • এক গবেষণায় দেখা গেছে বিছানায় বসে পড়ালেখা করলে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসে। কাজেই, পড়ার সময় ঘুম কমাতে হলে অবশ্যই আপনাকে বিছানায় পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং চেয়ার টেবিলে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  • পড়ার সময় ঘুম কমাতে হলে কখনোই ভরা পেটে পড়তে বসবেন না। পড়ার আগে চেষ্টা করবেন হালকা নাস্তা খেতে। কারণ ভরা পেটে পড়তে বসলে মস্তিষ্কে কিছুটা অলসতা বোধ হয়।
এই বিষয়গুলোই হল পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায়। এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে পারলে আশা করা যায় আপনি পড়ার সময় ঘুম কমাতে পারবেন। আশা করি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।

পড়ার সময় ঘুম কমাতে এক কথায় কিছু উত্তর

অধিক সময় পড়ার উপায়ঃ অধিক সময় পড়ার উপায় হচ্ছে পড়াশোনার মাঝে মাঝে একটু গ্যাপ রেখে পড়া। অর্থাৎ ৫-১০ মিনিট অন্য কাজ করা যেতে পারে। এতে পরবর্তীতে পড়তে বসলে পড়াগুলো আরো ভালো হবে। এভাবে অধিক সময় পড়া যায়।

দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায়ঃ দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় হচ্ছে রাতে ঠিকমত ঘুমানো। রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমালে দিনের বেলা আর ঘুম আসবে না।

পড়ার সময় ঘুম আসে কেনঃ পড়ার সময় ঘুম আসে কেন? এই প্রশ্নের নানা রকম উত্তর হতে পারে। তবে শরীর দুর্বলতা থেকে শুরু করে মানসিক টেনশন যাবতীয় কারণে পড়ার সময় ঘুম আসতে পারে।

কি খেলে ঘুম চলে যায়ঃ কি খেলে ঘুম চলে যায়? এর উত্তরে আমি বলব, আপনি চা অথবা কফি পান করতে পারেন। এতে ঘুম চলে যায়।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য | পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় - ঘুম কমানোর ওষুধ

আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদের পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায় এবং ঘুম কমানোর ওষুধ সহ আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছি যেগুলো আমাদের প্রত্যেকেরই জানা প্রয়োজন। আলোচনা গুলো খুব সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় করার চেষ্টা করেছি যাতে একজন পাঠক সহজেই বুঝতে পারে। এরপরেও যদি আপনার কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আমি যথাযথভাবে চেষ্টা করব আপনার সমস্যাটি সমাধান করার জন্য। আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার মনে হয় একটি বিষয়ও শিখেছেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করুন। তাদেরও বিষয়টি জানার সুযোগ দিন।

আর বিভিন্ন বিষয়ের আপডেট খবর সব সময় সবার আগে পেতে চাইলে আমার এই ওয়েবসাইটটি (M.F. Hossain) নিয়মিত ভিজিট করুন এবং ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সাপোর্ট দিন। আপনাদের সাপোর্টে উৎসাহিত হয়ে যেন আরো নতুন কোন বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। আমি যথাযথ চেষ্টা করি সঠিক তথ্য সকলের সামনে উপস্থাপন করতে। তাহলে আজকে আর কথা না বাড়িয়ে আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনার এখানেই ইতি টানছি। কথা হবে আবার নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। আর আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

M.F. Hossain ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url